শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজেই দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। সুযোগ থাকলেও চট্টগ্রামে একই মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে খুব বেশি দূরে নেই তিনি। দেশেন দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এ মাইলফলক স্পর্শ করতে তামিমের প্রয়োজন মাত্র ১৯ রান।
মুশফিকের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৫ হাজার রানের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে টাইগারদের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। ৫ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করতে তামিমকে আর করতে হবে মাত্র ১৯ রান। যা চলমান সিরিজেই পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার (২৩ মে) থেকে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের আগে ৫ হাজার রান করতে তামিমের দরকার ছিল ১৫২ রান। সেখানে প্রথম ইনিংসে ১৩৩ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেনি বাংলাদেশ। ফলে তামিমও মাইলফলক স্পর্শ করা থেকে বিরত থেকে যান।
২০০৮ সালে ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তামিমের। ৬৬ ম্যাচের ১২৬ ইনিংসে ১০টি সেঞ্চুরি ও ৩১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে এখন ৪৯৮১ রান এই বাঁ-হাতি ব্যাটারের। ব্যাটিং গড়- ৪০ দশমিক ১৬। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ২০৬। ২০১৫ সালে খুলনার আবু নাসের স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ডাবল-সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে থাকছেন না মুশফিকুর রহিম
চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৫ হাজার রান স্পর্শ করেন মুশফিকুর রহিম। ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মাইলফলক স্পর্শ করতে মুশির দরকার ছিল ৬৮ রান। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে সর্বোচ্চ রান এখন মুশফিকের। ৮১ ম্যাচের ১৪৯ ইনিংসে ৮টি সেঞ্চুরি ও ২৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫০৩৭ রান তার। ব্যাটিং গড়- ৩৬ দশমিক ৭৬।
মুশফিক-তামিমের পর বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সাকিব আল হাসানের। ৬০ টেস্টের ১১০ ইনিংসে ৪০৫৫ রান করেছেন এ অলরাউন্ডার।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস