টেস্টে নিজের চেনা আঙিনায় ফিরে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তামিম ইকবাল। ক্যারিয়ারের ১০ম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১৩৩ রানে অপরাজিত আছেন এই ওপেনার। অপরদিকে রিভার্স সুইপহীন ৫৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম। এটি তার ক্যারিয়ারের ২৬তম হাফ সেঞ্চুরি। দুইজনই দাঁড়িয়ে আছেন টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে পাঁচ হাজার রানের দোড়গোড়ায়। তামিমের অপেক্ষা ১৯ রানের, আর মুশফিক ১৫ রান করলেই পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন।
চট্টগ্রামের মাটিতে বরাবরই ভালো খেলেন তামিম ইকবাল। এক বছরের বেশি সময় পর নিজ শহরের মাঠে খেলতে নেমে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তামিম ইকবাল। সেঞ্চুরির পরও দারুণ ব্যাটিংও করছিলেন তিনি। কিন্তু, পায়ের পেশিতে টান পড়ায় চা বিরতির পর আর মাঠে নামতে পারেননি এই ক্রিকেটার। শেষ মেষ ১৩৩ রানে অপরাজিত থেকেই ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন তিনি। আবারও মাঠে নামার সুযোগ মিলবে তার। কিন্তু প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক ছোয়া যে তার জন্য কঠিন হবে, সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
কারণ, ৫৩ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিকের পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে দরকার আর ১৫ রান। তিনি ক্রিজে অপরাজিত আছেন, আর তার সাথে অপর প্রান্তে অপরাজিত আছেন আরেক ইনফর্ম ব্যাটার লিটন দাস। এই দুই ব্যাটারকে সরিয়ে চতুর্থ দিনের শুরুতেই মাঠে নামবেন না তামিম ইকবাল। তাই তার জন্য প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক ছোয়াটা অসম্ভবই বটে।
তবে চতুর্থ দিনের শুরুতেই ব্যক্তিগত রান আরো ১৫ বাড়িয়ে নিতে না পারলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক ছোয়া হবে না মুশফিকের। সেক্ষেত্রে হয়তো সুযোগটা মিলবে তামিমের।
টেস্ট ক্যারিয়ারের ৮১তম টেস্টে এসে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক ছোয়ার অপেক্ষায় মুশফিকুর রহিমের। অপরদিকে তামিমের সামনে এই সুযোগ এসেছে তার ক্যারিয়ারের ৬৬তম টেস্টে। সময়ের হিসেবেও রয়েছে বড় পার্থক্য। মুশফিকের টেস্ট ক্যারিয়ারের বয়স ১৭ বছর আর তামিম বাংলাদেশের হয়ে সাদা পোশাকে খেলছেন ১৫ বছর ধরে।
চট্টগ্রাম টেস্টের আগ পর্যন্ত ৮০ টেস্টে ৩৬ দশমিক ২৬ গড়ে ৪ হাজার ৯৩২ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ২৬ হাফ সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম। হাফ সেঞ্চুরি সংখ্যায় অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ছুয়েছেন এই ক্রিকেটার। বিপরীতে তামিম ৬৬ ম্যাচে ৩৯ দশমিক ৪১ গড়ে করেছেন ৪ হাজার ৮৪৮ রান।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর