চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনের প্রথম সেশনটা বাংলাদেশের পক্ষে এনে দিয়েছিলেন নাঈম হাসান। দ্বিতীয় দিনের সেই একই ঘটনা ঘটলো। পুরো সেশনে দাপট দেখানো শ্রীলঙ্কাকে শেষ সময়ে পিছিয়ে দিলেন নাঈম। প্রথম সেশন শেষ হওয়ার দুই ওভার আগে জোড়া উইকেট তুলে নেন তিনি। ফলে প্রথম সেশন শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬ উইকেটে ৩২৭ রান।
প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ২৫৮ রানের সংগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয় দিন (সোমবার) ব্যাট করতে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। দিনের শুরুতেই অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ফেরানোর সুযোগ হলেও বুঝতে না পারায় হতাশ হতে হয় বাংলাদেশকে। জীবন পেয়ে টাইগার বোলারদের উপর চড়াও হয়ে রানের চাকা সচল রাখেন লঙ্কানদের এ অভিজ্ঞ ব্যাটার।
ম্যাথিউসের সাথে সমান তালে ব্যাটিং করে প্রথম দিন শেষে ৩৪ রানে অপর প্রান্তে অপরাজিত থাকা লঙ্কান ব্যাটার দিনেশ চান্দিমাল। ম্যাথিউসের সাথে ব্যাটিং জুটি গড়ে দ্বিতীয় দিনের ১৭তম ওভারে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২১তম ফিফটি।
বাংলাদেশকে পেলেই যেন জ্বলে ওঠে দিনেশ চান্দিমালের ব্যাট। শ্রীলঙ্কার মিডল-অর্ডারের এ ব্যাটার ১২৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন। ১০৭তম ওভারে তাইজুল ইসলামের ফুল লেংথ বল লং-অফে পাঠিয়ে এক রান নিয়ে পঞ্চাশে পৌঁছান তিনি। টেস্ট ক্যারিয়ারের চান্দিমালের এটি ২১তম এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ফিফটি।
ফিফটি হাকানোর পর সেঞ্চুরি হাঁকানো ম্যাথিউসের সাথে বড় ইনিংস গড়ার পথে ছিলেন চান্দিমাল। তবে পঞ্চাশ করার পর চান্দিমালের ইনিংস খুব বেশি বড় করতে দেননি নাঈম। দিনের প্রথম সেশন শেষ হওয়ার দুই ওভার আগে বল করতে এসে জোড়া আঘাত করেন তিনি।
দ্বিতীয় দিনের ২৪তম ওভারে নাঈমের করা অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বল রিভার্স সুইপ করার চেষ্টায় ব্যাটে খেলতে পারেননি চান্দিমাল। এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি চান্দিমালের। ৩ ছক্কা ও ২ চারে ১৪৮ বলে ৬৬ রান করে চান্দিমাল সাঘরে ফিরলে ম্যাথিউসের সঙ্গে চান্দিমালের ১৩৬ রানের জুটি ভাঙে।
একই ওভারে ম্যাচে নিজের চতুর্থ শিকার ধরেন নাঈম। উইকেটে এসে প্রথম বলে নাঈমকে সুইপ করে তিন রান নেন নিরোশান ডিকভেলা। কিন্তু এক বল পরেই ফিরে তিনি। শরীরের কাছের বল কাট করার চেষ্টা করলে ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল গিয়ে লাগে অফ স্টাম্পে।
এক ওভারে দুই উইকেট হারানোর দুই ওভার পর লাঞ্চ বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা। এ সময় ম্যাথিউস ১৪৭ রানে এবং রমেশ মেন্ডিস ৭ বল খেলে ১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস