চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ভালো অবস্থানে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের বিপক্ষে কোনো উইকেট না পেলেও সবচেয়ে মিতব্যয়ী ছিলেন সাকিব আল হাসান। যদিও করোনার কারণে শঙ্কায় ছিলেন তিনি। এছাড়া শেষ পর্যন্ত তাকে পাওয়া গেলেও প্রস্তুতি ছিল খুবই সামান্য। তবে টাইগারদের স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ জানান, অনুশীলন ছাড়াই সাকিব যে উজাড় করে দিবেন -এ বিষয়ে শতভাগ বিশ্বাসী ছিল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে (রোববার) শেষে ৪ উইকেটে ২৫৮ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। সফরকারীরা ভালো অবস্থায় থাকলেও এ ধরনের কন্ডিশনে সাকিবের উপস্থিতি বাংলাদেশকে উজ্জীবিত করেছে বলে মনে করেন হেরাথ।
করোনা থেকে সুস্থ হয়ে দলে ফিরেন সাকিব। এটি ছিল এ বছরে তার প্রথম টেস্ট ম্যাচ। তবে কোনো রকম অনুশীলন ছাড়াই সাকিবের ম্যাচ খেলা উচিত হবে কি-না তা নিয়ে বির্তক ছিল। তবে সাকিবের উপস্থিতিই দলকে উজ্জীবিত করেছে বলে জানান হেরাথ।
সাকিব খেললে একই সাথে অতিরিক্ত ব্যাটার এবং বোলার খেলাতে পারেন অধিনায়ক। এর অর্থ চট্টগ্রাম টেস্টে পাঁচ বোলার এবং সাত ব্যাটার নিয়ে খেলতে পারছে বাংলাদেশ।
প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলসে এসে হেরাথ বলেন, ‘আমি সবসময় বিশ্বাস করি, আমাদের যদি টেস্টে পাঁচজন বোলার থাকে, তাহলে ২০ উইকেট নিতে সেটি সহায়তা করে। এটি বোলারদের কাজকে সহজ করে দেয়। সেই সাথে অন্যদেরও বিশ্রাম দেয়।’
মাঠে ফিরে প্রথম দিন ১৯ ওভার বোল করে মাত্র ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। বল হাতে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার ছিলেন তিনি। ফ্লাট উইকেট থাকার পরও সহজে রান করতে পারেননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। অনুশীলন ছাড়াও এমন পারফরমেন্সে সাকিব আবারও প্রমাণ করেছেন যে, বাংলাদেশের বড় তারকা তিনি, যা হেরাথও স্বীকার করেছেন।
টাইগারদের স্পিন কোচ বলেন, ‘আমরা তার মতো সামর্থ্যবান খেলোয়াড় খুব বেশি পাই না। এমনকি অনুশীলন না করেও প্রথম ডেলিভারিটি উইকেট ধরেই করেছেন তিনি। এটা তার আত্মবিশ্বাসের জন্য খুবই ভালো। সে আজ (রোববার) খুব ভালো বল করেছে, সে ছিল সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার।”
হেরাথ বলেন, “সাকিব সাথে থাকলে দলে ভারসাম্য থাকে। নয়তো, আমাদের এমন কাউকে খুঁজে বের করতে হয়, যে ব্যাট করতে এবং বোলিংও করতে পারে। আমি শতভাগ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, অনুশীলন ছাড়াই নিজেকে সে উজার করে দিবে।”
হেরাথ মনে করেন শ্রীলঙ্কা ব্যাটসম্যানদের রান আটকাতে দলগতভাবে ভালো পারফরমেন্স করেছে বোলাররা। চার উইকেট হারালেও ওভার প্রতি তিন রান করতে পারেনি সফরকারীরা। তাই এ কন্ডিশন ও উইকেটের কারণে এটি বাংলাদেশের জন্য সাফল্যই।
তিনি বলেন, “এটি তাদের বোলিংয়ের বৈচিত্র্যের উপর নির্ভর করে। সাকিব সহজেই স্লো বোলিং করতে পারেন। তাইজুল নিজের গতিতে বেশ পরিবর্তন আনতে পারেন। পরিস্থিতি বুঝতে হবে নাঈমকে এবং নিজের কাজ করতে হবে। এ জন্য উন্নতি করতে হবে তার।”
চট্টগ্রামে দিনের প্রথম সেশনে জোড়া উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান। হেরাথ মনে করেন, উচ্চতার কারণে বিদেশে কন্ডিশনে বাংলাদেশের জন্য সম্পদ হতে পারেন নাঈম।
হেরাথ বলেন, “আপনার হাতে নাঈমের মতো লম্বা খেলোয়াড় থাকলে সেটি আপনাকে এটি অতিরিক্ত সুবিধা দিবে (বিদেশি কন্ডিশনে)। মেহেদি (মিরাজ) সম্প্রতি খুব ভালো খেলছে। নাঈম তার সুযোগ পেয়ে ভালো বোলিং করেছে, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য দুর্দান্ত।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস