টেস্ট ক্রিকেটে টাইগাররা ভালো শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারে না, ফলে তীরে গিয়ে তরী ডুবে বাংলাদেশের। তবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বার বার একই পথে হাঁটতে রাজি নন। যার কারণে কোনো নির্দিষ্ট দিন, সেশন বা চার দিন নয়, একটি টেস্টে ম্যাচে পুরো পাঁচদিন ভালো খেলার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
জয়ের মতো অবস্থানে থেকেও সর্বশেষ তিনটি টেস্ট ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের মাটিতে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছাড়াও স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এমন ঘটনা ঘটেছে। তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ চারদিন খুবই ভালো খেলে জয়ের আশা জাগিয়েছিল। তবে পঞ্চম ও শেষ দিনে একটি খারাপ সেশনের মূল্য দিতে হয়েছে।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে রোববার (১৫ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচকে সামনে রেখে শুক্রবার (১৩ মে) সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন রাসেল ডোমিঙ্গো।
টাইগারদের প্রধান কোচ বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা ২০০ রানে এগিয়ে ছিলাম। এরপর আমরা উইকেট হারাতে শুরু করি। চট্টগ্রাম টেস্টে ৩৯৫ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকে দেওয়ার পর আমাদের জয় পাওয়া উচিৎ ছিল। নিউজিল্যান্ডে আমরা প্রথম টেস্ট জয় করেছি। ডারবান টেস্টে প্রথম চারদিন আমরা সত্যিই খুব ভালো খেলেছি। তবে শেষ দিকে গিয়ে আমরা ম্যাচ ধরে রাখতে পারিনি।’
রাসেল ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমাদের বড় চ্যালেঞ্জে হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্টে টিকে থাকা। আমি বিশ্বাস করি চারদিন নয়, পুরো পাঁচদিন ভালো খেলতে পারলে যেকোনো দলকে হারানোর যোগ্যতা আমাদের আছে।’
তিনি বলেন, ‘যখন আমাদের খারাপ সেশন আসে, তখন সেটি খুব খারাপ ভাবেই আসে। আমরা হয়তো এক বা দুটি উইকেট হারাতে পারি, তবে পাঁচ উইকেট নয়। এ বিষয়টিই আমি বার বার বলে আসছি। ড্রেসিং রুমে আমাদেরকে শান্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। এতে উইকেট পতন রোধ হবে।’
ডোমিঙ্গোর মতে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখনো বেশ ভালো অবস্থায় আছে, মানুষ যা বলছে তা নয়। ক্রিকেটারদের দরকার দুই টেস্টের ১০টি দিন ধৈর্য্য ধরে ভালো খেলা। তাহলেই সব পাল্টে যাবে।
ডোমিঙ্গো বলেন, ‘জেমি সিডন্স যেমনটা বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় দল (বাংলাদেশ) বেশ ভালো অবস্থায় ছিল। প্রথম দুই ইনিংস খুব একটা ভালো হয়নি। কন্ডিশন সব সময় ব্যাট করার মতো উপযোগী ছিল না। শেষ কয়েকটি ওভারে আলোর ঘাটতি ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে স্পিন আক্রমন ছিল চমৎকার। তারা ভালো বল করেছে। কন্ডিশনও সহায়তা করেছে। আমি মনে করি না, শ্রীলঙ্কা সিরিজে এর প্রভাব পড়বে। এক মাস আগে যা হয়েছে , তা হয়েই গেছে। আমাদেরকে সেখান থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) সকালে আমি বোলারদের বলেছি, দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই টেস্টে আমরা ৩৬টি উইকেট শিকার করেছি। আমরা ২০ উইকেট শিকারের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। দরকার ৫টি বোলিং অপশন। সাকিব না খেললে ওই বিভাগে কিছুটা ঘাটতির সৃষ্টি হয়। একদিনে একজন বোলারের ১২-১৩ ওভার বল করতে পারাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস