স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে ইতিহাস রচনা করলেও টেস্টে হ-য-ব-র-ল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টেস্টে বাজেভাবে হারার পর দ্বিতীয় টেস্টেও সেই একই ব্যাটিং ব্যর্থতা। এর মাঝে নিজের প্রিয় শট ‘রিভার্স সুইপ’ খেলতে গিয়ে আউট হওয়ায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। দলের বাজে সময়ে টেস্টে এমন শট খেলায় টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও বেশ নাখোশ হয়েছেন।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২১৭ রানেই প্রথম ইনিংসে থেমে যায় বাংলাদেশ। ফলে ৪৫৩ রান করা দক্ষিণ আফ্রিকা ২৩৬ রানের লিড পায়। বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মাঝে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ছিলেন মুশফিক। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৪তম ফিফটি হাঁকানোর পর রিভার্স সুইপ খেলে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন মুশফিক।
দলের দুঃসময়ে মুশফিকের এমন রিভার্স সুইপ খেলার বিষয়টি খোদ বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও মেনে নিতে পারছেন না। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে কাঠগড়ায় তুললেন মুশফিকের দায়িত্বহীন ব্যাটিং।
খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, “মুশির (মুশফিক) শটটা (রিভার্স সুইপ) অবশ্যই প্রত্যাশিত না। আমরা এমন কিছু অবশ্যই দেখতে চাই না। আমরা ফলোঅন থেকে ৪৩ রান দূরে ছিলাম। সে আমাদের সর্বশেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ছিল। শটটি খুবই অপ্রত্যাশিত।”
তিনি আরও বলেন, “টেস্ট ম্যাচের এমন একটা সময়ে এমন শট খেলবো, অবশ্যই আমরা এমন কিছু আশা করি না। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে এটা হতে পারে, যেহেতু খেলাটা রানের। কিন্তু টেস্টে এমন অবস্থায় কেন এমন শট খেললো? ভালো ব্যাটিং করতে করতে সে যেন খেলাটা ছেড়ে দিল।”
ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম টেস্টে পর দ্বিতীয় টেস্টেও বড় হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ। দলের এম বাজে ব্যাটিং নিয়ে খালেদ মাহমুদের কণ্ঠেও হতাশার সুর। বলেন, “তৃতীয় দিন শেষে অবশ্যই ভালো বলবো না। গত তিনদিন দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায় আমরা আমাদের সব বিভাগেই পিছিয়ে ছিলাম।”
বাংলাদেশ দলে টিম ডিরেক্টর আরও বলেন, “আমি এই দক্ষিণ আফ্রিকাকে খারাপ দল বলবো না। কারণ, এই দলে অনেক ভালো ক্রিকেটার আছে। তবে খুবই হতাশাজনক যে, আমরা স্পিনে আউট হয়েছি, এটাই হতাশাজনক। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম টেস্টের ফলাফলটা ভালো হবে। কিন্তু আমরা পরিকল্পনাটা ভালোমতো বাস্তবায়ন করতে পারিনি।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস