বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের বোলিং নৈপূণ্যে পোর্ট এলিজাবেথে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৫৩ রানে অলআউট করলেও নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করে বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে ৪১ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ৫ উইকেটে ১৩৯ রান সংগ্রহ করেছেন টাইগাররা। ব্যাটারদের এম ব্যর্থতায় ৫ উইকেট হাতে নিয়েও ফলোঅনে পড়ায় শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ।
৫ উইকেট হাতে নিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে এখনো ৩১৪ রান পিছিয়ে রয়েছে টাইগাররা। যেখানে ফলোঅন এড়াতে এখনো ১১৫ রান প্রয়োজন। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বল হাতে ১৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল।
তাইজুলের এটি টেস্ট ক্যারিয়ারে দশমবারের মতো এক ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট শিকার। তাইজুল ছাড়া ১০০ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার খালেদ আহমেদ। এছাড়া ৮৫ রানে বাকি ১টি উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষে তৃতীয় সেশনে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ইনিংসের পঞ্চম বলেই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে হারায় টাইগাররা। খালি হাতে ফিরেন প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান জয়। এরপর ৭৯ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল ও তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত।
প্রথম টেস্টে না খেলতে পারা তামিম খেলেন ওয়ানডে স্টাইলে। ৫৭ন বলে ৮ চারে ফিরেন ৪৭ রানে। এরপর নাজমুল হাসান শান্ত থামেন ৩৩ রানে। ৭৪ বলে ৬টি চারে নিজের ইনিংস সাজান শান্ত। নিজেদের ইনিংসের ২৩তম ওভারের পঞ্চম বলে শান্ত ফিরে গেলে দলীয় ৮৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর মিডল-অর্ডারে অধিনায়ক মমিনুল হকও হতাশ করেন। প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে শূন্য ও ২ রান করা মমিনুল দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফিরেন ব্যক্তিগত ৬ রানে। মমিনুল ফেরার ফেরার পর লিটন কুমার দাসও বেশি দূর যেতে পারেননি।
লজ্জাজনক পরাজয়ের প্রথম টেস্টে ৪১ ও ২ রান করা লিটন এবার ফিরেন ১১ রানে। ফলে ৩৩ ওভারের শেষ বলে দলীয় ১২২ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ইয়াসির আলি রাব্বিকে নিয়ে দিন শেষ করেন মুশফিকুর রহিম। মুুশফিক ৩০ এবং ইয়াসির ৮ রানে অপরাজিত আছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বল হাতে মুল্ডার ৩টি ও ওলিভিয়ের ২টি উইকেট শিকার করেছেন। দিন শেষে বাংলাদেশ ৩১৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে। ফলে প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টের ফলোঅন এড়াতে এখনো ১১৫ রান করতে হবে।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস