পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জ পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এ টেস্টের আগে বড় ফরম্যাটের ক্রিকেটে ৫ হাজার রানের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটার, মুশফিকুর রহিম এবং তামিম ইকবাল। এ জন্য মুশফিকের ১২০ ও তামিমের প্রয়োজন ২১২ রান।
২০০৫ সালে টেস্ট অভিষেকের পর ৭৯ ম্যাচের ১৪৬ ইনিংসে ৭টি সেঞ্চুরি ও ২৪টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪৮৮০ রান করেছেন মুশফিক। দেশের পক্ষে টেস্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন তিনি। প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে ভালো করতে না পারায় পাঁচ হাজার রান ক্লাবে ঢুকতে তাকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এছাড়া ৬৪ ম্যাচের ১২৩ ইনিংসে ৪৭৮৮ রান করে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তামিমের। তার ক্যারিয়ারে ৯টি সেঞ্চুরি ও ৩১টি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে। পাঁচ হাজার রানের ক্লাবের অপেক্ষায় ২০০৮ সালে অভিষেক হওয়া তামিম ইবালেরও।
হঠাৎ পেটের ব্যাথায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি তামিম। তবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে ২১২ রান করতে পারলেই ৫ হাজার রাানের ক্লাবে প্রবেশ করবেন তামিম।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি মুশফিকও। প্রথম ইনিংসে ৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ০ রান করেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মুশফিকের ব্যাটের দিকে চেয়ে আছে পুরো দল। এতে দুই ইনিংসে ১২০ রান করতে পারলে ৫ হাজার রানের ক্লাবের সদস্য হবেন মুশি।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশে পক্ষে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার রান ক্লাবে য়ুকতে পারেনি কেউ। মুশফিক ও তামিম ইবালের পর এ তালিকায় সবছেয়ৈ কাছে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার সংগ্রহে রয়েছে ৪০২৯ রান। চতুর্থ স্থানে থাকা অধিনায় মমিনুল হকের সংগ্রহ ৩৫০৩ রান।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস