ডারবান টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। ২৭৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৫৩ রানেই গুটিয়ে গেছে টাইগারদের ইনিংস। ফলে ২২০ রানের বড় ব্যবধানে হারের স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বল হাতে একাই সাত উইকেট শিকার করেছেন কেশভ মহারাজ।
২৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলেই হতাশ করে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। মাত্র ৬ ওভার ব্যাট করে ১১ রানে হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। ফলে শেষ দিনে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৬৩ রান, হাতে ছিল ৭টি উইকেট। চতুর্থ দিন শেষে ৫ রানে নাজমুল হাসান শান্ত এবং খালি হাতে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম।
সোমবার (৪ এপ্রিল) পঞ্চম ও শেষ দিন মাত্র ৫৫ মিনিট ব্যাট করে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ২৭৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৯ ওভারে মাত্র ৫৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ফলে ২২০ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ হারে টাইগাররা। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে রান ব্যবধানে একবারই হেরেছিল বাংলাদেশ। সেটি ২০১৭ সালে পচেফস্ট্রুমে ৩৩৩ রানের ব্যবধানে।
এদিকে, নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৫৩ রানে অলআউট হলো বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৩ ওভার ব্যাট করতে পারে টাইগার। ম্যাচটি জিততে হলে পঞ্চম ও শেষ দিনে ৭ উইকেটে ২৬৩ রান করতে হতো বাংলাদেশকে। ইতিহাস গড়ার লক্ষ্য নিয়ে শেষ দিনে খেলতে নেমে দিনের পঞ্চম বলেই মুশফিককে হারায় বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশব মহারাজের বলে লেগ বিফোর হয়ে খালি হাতে থামেন মুশফিক। নবম ওভারের পঞ্চম বলে ২ রান করা লিটন দাসকে তুলে নেন মহারাজ। আর ১১তম ওভারে ইয়াসির আলিকে ৫ রানে বোল্ড করে ইনিংসে নিজের পঞ্চম উইকেট পূর্ণ করেন মহারাজ। ফলে ২৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর দলীয় ৩৩ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে মিরাজের বিদায় নিশ্চিত করেন হার্মার। এতে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিন্ম রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বনিন্ম রান ৪৩। তবে অষ্টম উইকেটে ১৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচান নাজমুল হোসেন শান্ত ও ৯ নম্বরে নামা তাসকিন আহমেদ। এ জুটির কল্যাণে ৫০ রান স্পর্শ করে বাংলাদেশ।
৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা শান্তকে ২৬ রানে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন হার্মার। ৫২ বল খেলে ১টি করে চার-ছক্কা মারেন শান্ত। এরপর তাসকিনকে ১৪ ও খালেদকে শূন্য রানে শিকার করে বাংলাদেশকে ৫৩ রানেই গুটিয়ে দেন মহারাজ। শান্তর পর বাংলাদেশ ইনিংস দু’অংকে যেতে পারেন একমাত্র তাসকিন।
বল হাতে ১০ ওভারে ৩২ রানে ৭ উইকেট নেন মহারাজ। আর ৯ ওভারে ২১ রানে ৩ উইকেট নেন হার্মার। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার মিলে বাংলাদেশের ১০ উইকেট শিকার করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার এই প্রথম এমন কীর্তি করলো দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনাররা।
টেস্ট ইতিহাসে দুই বোলার মিলে প্রতিপক্ষে ইনিংস শেষ করার ক্ষেত্রে এটিই ২৮তম ঘটনা। ৩২ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন দক্ষিণ আফ্রিকার মহারাজ।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস