দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবনে প্রথম টেস্টে দারুণ এক শতক হাঁকিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে শতরান করা প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ডবুকেও। এই তরুণের এমন নয়নাভিরাম ইনিংসে মুগ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।
জয়ের সেঞ্চুরিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সিডন্স। তিনি বলেন, ‘মাস দুয়েক হলো আমি দলের সঙ্গে আছি। সে (জয়) শুরুতেই আমার নজর কাড়ে প্রতিভা এবং কাজ দিয়ে। ব্যাটিংয়ে তার ধৈর্য্য ও নিজের খেলা নিয়ে কাজ করার নিবেদন আমাকে মুগ্ধ করেছে। আজকের ইনিংসটা ধৈর্য্য আর পরিকল্পনা দিয়েই গড়া।’
বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতে নেমে একদম শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেছেন জয়। ১৩৭ রানের ইনিংসটি খেলার পথে জয় বল খেলেছেন ৩২৬টি। ডুয়ান অলিভিয়ের, সাইমন হার্মার, কেশভ মহারাজদের বোলিংয়ের বিপক্ষে ক্রিজে ছিলেন ৪৪২ মিনিট। জয়ের এই একনিষ্ঠতা মুগ্ধ করেছে সিডন্সকে।
অজি কোচ বলেন, ‘সে যেটুকু জানে, সেটুকুতেই আটকে রেখেছে নিজেকে। নিজের গণ্ডির বাইরে গিয়ে উচ্চভিলাসী শট খেলার চেষ্টা করেনি। সে যেভাবে ব্যাট করেছে, তাতে আমরা সবাই গর্বিত। টেস্ট ক্রিকেটে এর চেয়ে ভালো ইনিংস বাংলাদেশের খুব বেশি আছে কিনা জানি না।’
বাউন্সি উইকেটে বারবারই সাবলীল জয়। এর আগে যুব দলের হয়ে দক্ষিন আফ্রিকার মাটিতেই করেছেন সেঞ্চুরি। জিতেছেন বিশ্বকাপ। চেনা পরিবেশ পেয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচেই মূল দলের হয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। এর আগে নিউজিল্যান্ডেও খেলেছিলেন ২২৮ বলে ৭৮ রানের টেস্টসুলভ ইনিংস।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে আরও একটা রেকর্ড গড়েছেন জয়। বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার এখন পর্যন্ত এশিয়ার দেশগুলোর বাইরে গিয়ে ৩০০ বল অবধি টিকে থাকতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ৩০০ বল খেলার কীর্তি গড়েছেন জয়।
জয়ের সেঞ্চুরির সুবাদে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মতো রান তুলতে পেরেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৬৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ তুলতে পারে ২৯৮। ৬৯ রান এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছে দক্ষিন আফ্রিকা। তারা এগিয়ে আছে ৭৫ রানে।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি