ডারবান টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে স্কোর বোর্ডে ৯৮ রান তুলতেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন বাংলাদেশের উপরের সারির চার ব্যাটার। তবে ব্যাট হাতে অবিচল ছিলেন ওপেনার মাহমুদ হাসান জয়। দলের চার ব্যাটার চলে গেলেও দিন শেষে ৪৪ রানে অপারজিত ছিলেন তিনি। তৃতীয় দিন তুলে নিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি।
প্রথম ইনিংস থেকে ২৬৯ রানে পিছিয়ে থেকে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে শনিবার (২ এপ্রিল) তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। তবে দিনের শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। দ্বিতীয় দিন খালি হাতে থাকা টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ ফিরেন ব্যক্তিগত ১ রানে। ফলে দলীয় ১০১ রান পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তাসকিন চলে যাওয়ার পর জয়ের সাথে ব্যাট হাতে জুটি গড়নে লিটন কুমার দাস। তাসকিনকে বিদায় করার পর লিটন দাসকেও সাজঘরে ফেরানোর পথ করেছিলেন উইলিয়ামস। তবে বেঁচে যান এ টাইগার ব্যাটার।
লিটন জীবন পাওয়ার পর ইনিংসের ৬০তম ওভারের প্রথম বলে চার মেরে ফিফটি (৫১*) স্পর্শ করেন জয়। ১৭০ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশত রান করেন টাইগার ব্যাটার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি সপ্তদশ টেস্ট ফিফটি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশি ব্যাটারদের কোনো সেঞ্চুরির রেকর্ড নেই। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭৭ রানে সংগ্রহ রয়েছে অধিনায়ক মমিনুল হকের।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মাহমুদুল হাসান জয়ের। অভিষেক ম্যাচে ফিরেছিলেন খালি হাতে। ১২ মিনিট উইকেটে ৭টি বল খেললেও খাতায় যোগ করতে পারেনি কোন রান। ওই ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের ব্যাট থেকে এসেছিল ৬ রান।
টেস্ট ক্যারিয়ারের অভিষেক ম্যাচটি খারাপ কাটলেও নিজের জাত চেনান দ্বিতীয় ম্যাচে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয়ের ম্যাচে ব্যাট হাতে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন জয়। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম বারের মতো জয় ( ৮ উইকেট) পাওয়ার ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে জয়কে আর ব্যাট করতে হয়নি।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস