দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম দিনটি খুব বেশি ভালো না কাটলেও দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো হয়েছে বাংলাদেশের। দিনের প্রথম সেশনে (২৮.১ ওভার) তুলে নিয়েছে চার উইকেট। ফলে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৮ উইকেটে ৩১৪ রান।
প্রথম দিনের খেলা নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হতে না পারলেও শুক্রবার (১ এপ্রিল) সঠিক সময়েই মাঠে গড়ায় দ্বিতীয় দিনের খেলা। দিনের প্রথম সেশনে ২৮.১ ওভার বল করে দক্ষিণ আফ্রিকার চার উইকেট শিকার করার পাশাপাশি রানের লাগামও টেনে ধরতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। ২৮.১ ওভারে রান দিয়েছে ৮১।
৭৬.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ২৩৩ রানে প্রথম দিন শেষ করেছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ২৪৫ রানে দ্বিতীয় দিনের প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় নতুন বলে কাইল ভেরেইনাকে (২৮) ফিরিয়ে দিয়ে জুটি ভাঙ্গেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। ৮২.২ ওভারে উইকেট নেওয়ার পরের বলেই আরও একটি উইকেট শিকার করেন খালেদ।
কাইল ভেরেইনা ফেরার পর উইকেটে আসা নতুন ব্যাটার ভিয়ান মুল্ডারকে শুরুতেই শিকার করেন খালেদ। অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথে করা বলে স্লিপে দাঁড়ানো মাহমুদুল হাসান জয় দুর্দান্তভাবে ক্যাচটি লুফে নেন। খালেদের পর পর শিাকরে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২৪৫ রান।
টানা দুই বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকে হাতছানি দিলেও সফল হতে পারেননি খালেদ আহমেদ। পরের বল অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের লেংথ করায় নতুন ব্যাটার কেশভ মহারাজ না অনায়াসেই ছেড়ে দেন।
এরপর সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা টেম্বা বাভুমাকে হতাশ করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংসের ৯৮তম ওভারের শেষ বলে ৯৩ রানে থাকা বাভুমাকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। ১৯০ বলে ১২টি চারের মারে এ রান করেন তিনি। মাত্র ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত বাভুমাকে ফিরতে হয় আক্ষেপ নিয়ে।
সপ্তম উইকেট হারানোর পরেই ওভারেই আরও একটি উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কেশভ মহারাজকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরের পথ ধরান ইবাদত হোসেন চৌধুরী। ইবাদতের দ্বিতীয় শিকারে ৪০ বলে ১৯ রানে শেষ হয় মহারাজের লড়াই। আর ৮ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ২৯৮ রান।
ওই ওভারেই অবশ্য ৩’শ রান পার করে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত ১০৫ ওভারে ৮ উইকেটে ৩১৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষ করে স্বাগতিকরা।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস