মাশরাফির জন্য টেস্ট দলের দরজা খোলা আছে। তবে ম্যাশকে টি-টোয়েন্টি দলে বেশি প্রয়োজন -এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে দিন দিন ইনজুরির মিছিল লম্বা হচ্ছে। দুই মাস পরই আফগানিস্তান আর ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। কিছুটা ভাবনা থাকলেও এ দুই সিরিজের আগেই মূল দল গঠন করা যাবে বলে বিশ্বাস প্রধান নির্বাচকের।
এদিকে মাশরাফি বলেছেন, আমার ডেবু হয়েছিল টেস্ট ম্যাচ দিয়ে। আমার ডেবু হয়েছিল টেস্ট ম্যাচ দিয়ে। অবশ্যই মিস করি টেস্ট।
টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে মাশরাছির হৃদয়টাও ছটপট করছে। ইনজুরির ভূত তাড়িয়ে এলিট ক্রিকেটের জন্য ফিট হয়ে উঠেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। ২০০৯ সালে যে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সফরে ইনজুরির অভিশাপে সাদা পোষাক পড়া হয়নি ৯ বছর। কাকতালীয়ভাবে সেই ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট ক্রিকেটে মাশরাফির ফেরার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ঘরোয়া লঙ্গার ভার্সন লিগ বিসিএলের শেষ রাউন্ড খেলবেন ম্যাশ। কিন্তু প্রধান নির্বাচকের কথায় স্পষ্ট বোঝা গেল। নির্বাচকদের টেস্ট দলের বিবেচনার রাডারে মাশরাফি থাকলেও বিসিবির বড় কর্তাদের সবুজ সংকেত এখনো মেলেনি।
নান্নু বলেন, এটা বিসিবির ব্যাপার। আমাদের নির্দেশনা দিলে আমরা সেভাবে আগাবো।
নির্বাচক হাবিবুল বাশারের এমন ইনজুরির মতো বেশ কিছু দিন হলো জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ইনজুরির মিছিল লম্বা। সেই তালিকায় এবার যোগ মাহমুদুল্লাহর ইনজুরি। তবে খুব গুরুতর নয়। কিন্তু সামনেই তো আফগানিস্তান আর ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সিরিজ। সেখানে এই ইনজুরির মিছিলে মাঝে মূল দল গঠন করা যাবে তো। আস্বস্থ করলেন প্রধান নির্বাচক।
তিনি আরও বলেন, তেমন লম্বা ইনজুরি কারো নেই। আমরা বেস্ট টিমটা নিয়েই খেলতে পারব।
জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মূল দল পাঠানোর লক্ষ্য থাকলেও দু-এক জন নতুন মুখ রাখার পরিকল্পনা আছে ক্রিকেট বোর্ডের।
এদিকে বিসিবির নতুন চুক্তিতে ৬ টাইগারকে বাদ দিয়ে ১০ জন রাখা হয়েছে। তবে ফর্ম হারানো এসব টাইগাররা ফর্মে ফিরে আবার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।