স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ইনিংস এবং ১১৭ রানের ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। তবে সিরিজের প্রথম ম্যাচে পুরো পাঁচদিন দাপটের সাথে খেলে প্রথমবারের মতো জয় তুলে ইতিহাস রচনা করেছেন মমিনুল হকরা। যার ফলে টাইগার অধিনায়কের ধারণা, টেস্ট ক্রিকেটে পূর্বের ন্যায় বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে আর কেউ হিসেবের বাইরে রাখতে পারবে না।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট ৮ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। টেস্টের পুরো পাঁচদিন দাপট দেখিয়েছেন টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করতে পারে নিউজিল্যান্ড। বছরের শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের মতো বিরুপ কন্ডিশনে দাপটের সাথে জয়ের নজির গড়ায় বাংলাদেশ টেস্ট দল ক্রিকেট বিশ্বের সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শেষে মমিনুল বলেন, ‘বিদেশি কন্ডিশনে শেষ পর্যন্ত টেস্ট জয়ের ধারা অব্যাহত রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ। আমার মনে হয় এখন আর কেউ বিদেশের মাটিতে আমাদেরকে হিসেবের বাইরে রাখতে পারবে না। সবাই আমাদের নিয়ে চিন্তা করবে।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ ম্যাচ লড়াইয়ের পর প্রথম টেস্ট জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। যা নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সব ফরম্যাটে ৩৩ ম্যাচ লড়াইয়ের পর টাইগারদের প্রথম জয়। এছাড়া এশিয়ার বাইরে বড় কোন দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটিই প্রথম টেস্ট জয়।
‘আমি অত্যন্ত গর্বিত, বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে খেলায়। প্রথম টেস্টে নিয়ে আমি সত্যিই খুশি, কিন্তু দ্বিতীয় টেস্ট ছিল হতাশার’ -বলেন মমিনুল হক।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। তবে প্রতিপক্ষ দলটি ছিল দ্বিতীয় সারির। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে ছাড়া বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের জয় ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
এদিকে, বাংলাদেশের এ জয় ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে টানা ১৭ টেস্ট অপরাজিত থাকার রেকর্ড থামিয়ে দেয়। ২০১০ সালের পর কোন এশিয়ার দলের কাছে এটি ছিল কিউইদের প্রথম পরাজয়। ফলে জয় পাওয়া এ টেস্টে মমিনুলের মতে, গর্ব করার মতো অনেক কিছুই রয়েছে।
বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথম টেস্ট জয়ের পর এটা আমাদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। বিদেশের মাটিতে খেলা মানসিকতার উপর নির্ভর করে। আমাদের কিছু ভালো ইতিবাচক বিষয় ছিল। ইবাদত সত্যিই ভালো বোলিং করেছে, আর লিটনও দারুণ খেলেছে। তার ব্যাটিংয়ের সময় এটাকে কঠিন পিচের মতো মনে হয়নি।’
প্রথম টেস্টে ৮৬ রান করেছিলেন লিটন। আর দ্বিতীয় টেস্টে করেছেন সেঞ্চুরি। ইনিংসে ১১৪ বলে ১০২ রান করেন লিটন। দলের ইনিংস হার এড়ানোর চেষ্টা করেছেন লিটন। তবে দলের অন্যান্য ব্যাটাররা ব্যর্থ হওয়ায় ইনিংস হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।
মমিনুল বলেন, ‘১-১ জয়ে সিরিজ ড্র। এটা আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি। কারণ, বিদেশের মাটিতে আমরা নিয়মিত জিততে পারি না। গত দুই বছর ধরে আমরা বিদেশের মাটিতে খুব বেশি ম্যাচ খেলিনি। যদিও আমরা খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। তথাপি আমরা আমরা একটি টেস্ট জিততে চেয়েছি এবং আমরা সেটি করতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলের প্রচেষ্টা দারুণ ছিল। আমরা পুরো সিরিজে দল হিসেবে খেলেছি। দ্বিতীয় টেস্ট হতাশাজনক হলেও সিরিজ থেকে আমাদের অনেক ইতিবাচক বিষয় নেওয়ার আছে। এখন আমাদের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।’
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]