নিউজিল্যান্ডে দুই ম্যাচ সিরিজের পথম টেস্ট জিতে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ড্র করলেই আরও একটি নতুন ইতিহাস হতো টাইগার ক্রিকেটে। তবে সেটি আর হলো না। লিটন দাসের সেঞ্চুরির পরেও বাংলাদেশ শেষ ম্যাচটি ইনিংস ব্যবধানে হেরে গেছে। ফলে ১-১ জয়ে ড্রতে শেষ হলো দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে প্রথম ইনিংসেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডের ৫২১ রানে (ডি) বিপরীতে মাত্র ১২৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফলে ফলোঅপে পড়ে আবারও ব্যাট করতে নামে টাইগাররা।
প্রথম ইনিংসের ন্যায় দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ ছিল টাইগারদের ব্যাটিং ইনিংস। তবে লিটন দাসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাংলাদেশ। লিটন দাস ব্যক্তিগত ১০২ রানে সাজঘরে ফেরার পর পরই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের। ইনিংস এবং ১১৭ রানে হারে সিরিজ শেষ করে বাংলাদেশ।
শেষ ম্যাচে হারলেও চলতি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে মূল্যবান ১২ পয়েন্ট নিয়েই দেশে ফিরছে মমিনুল হকের বাংলাদেশ টেস্ট দল। কারণ, বছরের শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের ন্যায় জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ টেস্ট দল।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ইতিহাস গড়া ম্যাচে পঞ্চম দিনের প্রথম সেশন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল দুই দলকে। তবে ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভালে তিন দিনেই শেষ হয়ে গেছে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম ইনিংসে ১২৬ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৮ রানে অলআউট হওয়ায় ইনিংস এবং ১১৭ রানের ব্যবধানে হারের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে ১২৬ রানে অলআউট হয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের করা ৫২১ রানের বিপরীতে ৩৯৫ রানে পিছিয়ে থাকায় ফলোঅনে পড়ে তৃতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তবে ভালো করতে পারেননি টাইগার ব্যাটাররা। দুই ওপেনার ২৭ রানে সাদমান ইসলাম এবং ২৪ রানে ফিরেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।
শুরু থেকে অধিনায়ক মমিনুল হককে সাবলীল মনে হলেও তিনিও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হোন। ব্যক্তিগত ৩৭ রানে ফিরেন সাজঘরে। এরপর ৯ বলে খেলে একবার জীবন পেয়েও মাত্র ২ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ইয়াসির আলি রাব্বি।
দলীয় ১২৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর হার যখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় ঠিক তখনই দলের হাল ধরেন লিটন কুমার দাস এবং নুরুল হাসান সোহান। তাদের দু’জনের ব্যাটে স্কোরবোর্ডে দ্রুত রান পেতে থাকে বাংলাদেশ।
ওয়ানডে স্টাইলে খেলে ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট ফিফটি তুলে নেন লিটন। ৬৯ বলে ছয় চার ও এক ছক্কায় চলতি সিরিজে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি পূরণ করেন তিনি। লিটন-সোহানের জুটিতে ৯৯ বলে ১০০ রান পায় বাংলাদেশ। তবে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে আউট হন সোহান।
এরপর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে ১০২ রানে ফিরেন লিটন। ১১৪ বলে ১৪টি চার ও এক ছক্কায় এ রান করেন তিনি। লিটন ফেরার আগেই অবশ্য মেহেদী হাসান মিরাজ ৩০ বল খেলে ৩ রান করে সাজঘরে ফিরেন।
দলীয় ২৬৯ রানে লিটন ফেরার পর আর বেশি দূর যেতে পারেনি বাংলাদেশের ইনিংস। ২৭৮ রানে গুটিয়ে গেলে ইনিংস এবং ১১৭ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশের হার নিশ্চিত হয়।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]