ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটাররা একের পর এক বিদায় নিয়ে দলকে রূপ দিয়ে গেছেন ধ্বংসস্তুপে। সেই ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়ে সেঞ্চুরি করে বসলেন উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন কুমার দাস। টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, কাইল জেমিসনদের সামনে স্রোতের বিপক্ষে লড়ে গেলেন একাই।
লিটন যখন ব্যাট হাতে নামেন, বাংলাদেশের ইনিংসের তখন বেহাল দশা। ১০৫ রানে হারিয়ে বসেছে ৩ উইকেট। সেখান থেকে অধিনায়ক মমিনুল হকের সাথে জুটি বাঁধেন লিটন।
তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মমিনুল। বিদায় নেন ১৩ রানে। অধিনায়কের পথ ধরে খানিকবাদে বিদায় নেন আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান ইয়াসির আলিও (২)।
দলের টালমাটাল অবস্থায় লিটনের সাথে এসে জুটি গড়েন নুরুল হাসান সোহান। দু’জন মিলে সাজিয়ে বসেছিলেন ব্যাটিংয়ের নান্দনিক পসরা। ওয়ানডে স্টাইলে খেলে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে।
১০৫ বলে ১০১ রানের জুটি গড়ার পর ৩৬ রানে সোহান বিদায় নিলেও থেকে যান লিটন। তখনো তার ক্লাসিক্যাল ব্যাটিংয়ের অনেকটা দেখানো বাকি। পরের পথটা তাকে সঙ্গ দেন মিরাজ এবং তাসকিন।
জেমিসনের ৭৪তম ওভারের চার নাম্বার বলটা গালিতে ঠেলে দিয়ে ২ রান নিয়ে ছুঁয়ে ফেলেন শতরানের ঘর। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটা লিটনের দ্বিতীয় শতক।
শতক করার পর জেমিসনের পরের ওভারেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ১০২ রানে শেষ হয় লিটনের ইনিংস। ১০২ রান করতে লিটন উইকেটে ছিলেন ১৮৯ মিনিট। খেলেছেন ১১৪ বল। চার মেরেছেন ১৪টি। ছক্কা ১টি।
লিটনের আউটের পরই তাসের ঘরের মতো ধ্বসে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। গুটিয়ে যায় ২৭৮ রানে। তাতে ইনিংস ও ১১৭ রানের ব্যবধানে জিতে ১-১ এ সমতায় আনে নিউজিল্যান্ড।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]