নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ক্রিকেটের যেকোন ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে ধাপটের সাথে তুলে নেওয়া জয়কে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ জয় বলে মনে করছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এ সাবেক অধিনায়কের মতে, এ জয় সর্বোচ্চদের মধ্যে একটি নয়, এ জয়কে সর্বোচ্চ বলাই ভালো।
নিউজিল্যান্ডের মাঠে বাংলাদেশের টেস্ট জয় কিভাবে দেখছেন? - এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, “দারুণ! ওয়ান অফ দ্য বেস্ট বলার থেকে সর্বোচ্চ জয় বলাই ভালো। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটের কথা চিন্তা করলে, আবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। যেখানে নিউজিল্যান্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়ন। সো, এটা তো দারুণ ব্যাপার। স্পেশালি অনেকগুলো প্লেয়ার নাই। সেখান থেকে ভাবলে এতো বড় একটা জয় দারুণ ব্যাপার।”
বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল বিশ্বকাপ জয় করেছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ নারী দলও এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে এনেছে। তবে বড়দের জাতীয় দল এখনো কোন আইসিসি শিরোপা জয় করতে পারেনি।
তিনি বলেন, “২০১২ সালে তো আমরা এশিয়া কাপ ফাইনাল খেলেছি। সেটাও তো অনেক বড় অর্জন ছিল। সেখান থেকে ১০ বছর পরে এসে আমরা নিউজিল্যান্ডে টেস্ট ম্যাচ জিতলাম। ওভার অল যদি আপনি দৃশ্য দেখেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন কোন গ্রাফে? সেই জায়গা থেকেই আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।”
“আবার হারলে সমালোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে যত আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে অল আব্যাউট আপনি কিভাবে স্ট্র্যাকচার সাজাচ্ছেন। আপনার প্লেয়াররা কোন ফ্যাসিলিটিজ পাচ্ছে, পাচ্ছে না সেটা নিয়েই। এ রকম ম্যাচ জিতেছি, হয়তো বা এ সিরিজও আমরা জিতে আসতে পারি। বাট নেক্সট কি?”
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বাজে ফর্মে রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বিশ্বকাপে শেষে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষেও নিজেদের খেলা খেলতে পারেননি টাইগাররা। ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নানা দিক থেকেই শুনতে হয়েছে নানা সমালোচনা।
মাশরাফি বলেন, “অনেক কথা হচ্ছে। তার মধ্যেও কিন্তু আমাদের পেস বোলাররা ভালো করে যাচ্ছিলো। টি-টোয়েন্টিতে যদি দেখেন তাসকিন ভালো বল করেছে। টেস্টে একটা বিষয় ছিল, অন্যান্য দেশের মতো আমাদের ফাস্ট বোলাররা এতো ইমপ্যাক্ট রাখতে পারিনি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ওয়ানডেতে পেস বোলাররা খুব খারাপও করে না। এ ফরম্যাটে আমাদের কাজ করার আরও সুযোগ আছে।”
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন টাইগার পেসার ইবাদত হোসেন। তবে এর আগে তাকে পারি দিতে হয়েছে কঠিন পথ। মাশরাফি বলেন, “এখন রেজাল্ট কিন্তু আসছে। তাসকিন ভালো করছে, ইবাদত কিন্তু ভালো করছে। ইবাদতের ভালো করা কিন্তু হঠাৎ না, ও লম্বা সময় ধরে খেলছে এবং টেস্ট ক্রিকেটে ওকে বিবেচনা করা হচ্ছে। ওকে ওইখানে নিশ্চিত করা হয়েছে তুমি টেস্ট খেলবা। ও জানে এটা ওর ক্যারিয়ার, ওর ফিউচার। ও জানে, ওর এখানে সার্ভিসটা দিতে হবে। একটা খেলোয়াড়ের তো সেট হতেও সময় লাগে।”
সমালোচনাকারীদের বিষয়ে মাশরাফি বলেন, “একটা ম্যাচ হারা মানে কিন্তু পিছিয়ে যাওয়া না। তারা (ক্রিকেটাররা) জানে বাউন্স ব্যাক করতে। ওরা জানে সামনে ওরা বড় ম্যাচ জিততে পারে। ওই যে কনফিডেন্স ওইটা তো অন্য কিছু দিয়ে আসবে না। ডে বাই ডে তৈরি করতে হবে। তৈরি করার জন্য কী প্রয়োজন। সেটা আমি বলতে পারি যে, আমাদের ক্রিকেট বোর্ডে যারা আছে তারাও জানে। ওই জায়গাগুলোতে কাজ করলে ঠিক হয়ে যাবে আশা করি। এটার জন্য সময় লাগবে। নট অ্যাবাউট তিন মাস-ছয় মাস বা এক বছরে চেঞ্জ হবে। এটার জন্য সময়ের প্রয়োজন।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]