ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট জিততে পঞ্চম ও শেষ দিনে আরও ৩৪০ রান করতে হবে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট শিকার করতে পারলে জয়ের স্বাদ নিতে পারবে সফরকারী ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ৩৫২ রান তুলে ইংলিশরা। ফলে ম্যাচ জয়ের জন্য ৩৮২ রানের টার্গেট পায় নিউজিল্যান্ড। সেই লক্ষ্যে চতুর্থ দিন শেষে বিনা উইকেটে ৪২ রান করেছে কিউইরা। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ৩০৭ ও নিউজিল্যান্ড ২৭৮ রান করেছিল।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংস থেকে ২৯ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ২০২ রান করেছিল ইংল্যান্ড। অধিনায়ক জো রুট ৩০ ও ডেভিড মালান ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। চতুর্থ দিন ৬ উইকেট হারিয়ে আরও ১৫০ রান যোগ করে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড।
দিন শুরু করে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন রুট ও মালান। ধীরলয়ে নিজেদের ইনিংস সাজিয়েছেন তারা। হাফ-সেঞ্চুরির পর নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি রুট ও মালান। রুট ৫৪ ও মালান ৫৩ রান করে ফিরেন।
তাদের বিদায়ের পর পরের দিকের কোন ব্যাটসম্যানই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। বেন স্টোকস ১২, প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টো ৩৬, স্টুয়ার্ট ব্রড ১২ রান করেছেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা জ্যাক লিচ ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ফলে ৯ উইকেটে ৩৫২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ৪টি, বোল্ট ২টি ও সাউদি ১টি উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ৩৮২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দিনের শেষভাগে ২৩ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায় নিউজিল্যান্ড। দেখেশুনে খেলে কোন বিপদ ছাড়াই দিন শেষ করেন কিউইদের দুই ওপেনার টম লাথাম ও জিত রাভাল। ফলে কোন উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে নিউজিল্যান্ড। লাথাম ২৫ ও রাভাল ১৭ রানে অপরাজিত আছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড : ৩০৭ ও ৩৫২/৯ডি, ১০৬.৪ ওভার (ভিন্স ৭৬, স্টোনম্যান ৬০, গ্র্যান্ডহোম ৪/৯৪)
নিউজিল্যান্ড : ২৭৮ ও ৪২/০, ২৩ ওভার (লাথাম ২৫*, রাভাল ১৭*)।