ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির পর দুই পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস এন্ডারসনের বোলিং তোপে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে চাপে পড়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের ৩০৭ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে দিন শেষে ৬ উইকেটে ১৯২ রান তুলেছে কিউইরা। ফলে ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ১১৫ রানে পিছিয়ে নিউজিল্যান্ড।
প্রথম দিন শেষে ৮ উইকেটে ২৯০ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর অপরাজিত ৯৭ ও নবম ব্যাটসম্যান মার্ক উডের দৃঢ়তায় ম্যাচে ফিরে ইংলিশরা।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন বেয়ারস্টো। অবশ্য তিন অংকে পা দিয়েই বিদায় নেন তিনি। দলের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হবার আগে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৭০ বলে ১০১ রান করেন বেয়ারস্টো। ফলে দ্বিতীয় দিন ৪১ বল মোকাবেলা করে ১৭ রান যোগ করে ৩০৭ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি ৬২ রানে ৬টি ও বোল্ট ৮৭ রানে ৪ উইকেট নেন।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে নিজেদের ইনিংস শুরু করে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ব্রড-এন্ডারসনের পেস তোপে ৩৬ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। টম লাথাম শূন্য, রস টেইলর ২ ও হেনরি নিকোলস শূন্য রান করে ব্রডের শিকার হন। জিত রাভাল ৫ ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ২২ রান করে এন্ডারসনের বলে আউট হন।
পঞ্চম উইকেটে জুটি বেধে ইংল্যান্ডের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিং ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। এতে সাফল্যের দেখা পান তারা। দলকে ১৪২ রান এনে দিয়ে দলের মুখে হাসি ফোটান ওয়াটলিং ও গ্র্যান্ডহোম। তবে দলীয় ১৭৮ রানে ইংল্যান্ডের ব্রডের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তারা। ৭টি চারে ৭২ রান করা গ্র্যান্ডহোমকে থামান ব্রড। এরপর সাউদিকে নিয়ে দিনের খেলা শেষ করে দেন ওয়াটলিং। সাউদি ১৩ ও ওয়াটলিং ৭৭ রানে অপরাজিত আছেন। ব্রড ৩৮ রানে ৪টি ও এন্ডারসন ৪৩ রানে ২ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড : ৩০৭, ৯৬.৫ ওভার (বেয়ারস্টো ১০১, উড ৫২, সাউদি ৬/৬২)।
নিউজিল্যান্ড : ১৯২/৬, ৭৪.৫ ওভার (ওয়াটলিং ৭৭, গ্র্যান্ডহোম ৭২, ব্রড ৪/৩৮)।