দেশের মাটিতে সর্বশেষ ১৯৮৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয় করেছিল নিউজিল্যান্ড। এমনকি ইংলিশদের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ জয়ের রেকর্ডও সেই ১৯৯৯ সালে।
ইংলিশদের বিপক্ষে দীর্ঘদিন টেস্ট সিরিজ জিততে না পারার বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে মরিয়া কিউইরা। লক্ষ্য পূরণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েও নিউজিল্যান্ড। কারণ দাপট দেখিয়ে অকল্যান্ডে দিবা-রাত্রির প্রথম টেস্ট সহজে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে কিউইরা। তাই ক্রাইস্টচার্চে শুরু হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট জিতে ৩৪ ও ১৯ বছরের বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে চায় নিউজিল্যান্ড।
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দীর্ঘদিন না হারার রেকর্ড ধরে রাখতে চায় ইংল্যান্ড। এমন লক্ষ্য নিয়েই আগামী ৩০ মার্চ (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা) মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড।
১৯৩০ সালে প্রথম টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। দ্বিপক্ষীয় লড়াই শুরুর পর ২০টির মধ্যে কোন সিরিজ জিততে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ২০টি সিরিজের মধ্যে ১৫টি জিতে নেয় ইংলিশরা, ৫টি হয় ড্র।
তবে ১৯৮৪ সালে নিজ মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় নিউজিল্যান্ড। এরপর ১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে তাদের মাটিতেই প্রথমবারের মত সিরিজ জয়ের স্বাদ নেয় কিউইরা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয়বারের মত টেস্ট সিরিজ জিততে আবারও দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হয় নিউজিল্যান্ডকে। তবে ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয়বারের মত টেস্ট সিরিজ জিতে নেয় সফরকারী নিউজিল্যান্ড। এরপর আজ অবধি সাতটি সিরিজের মধ্যে কোনটিতেই জিততে পারেনি কিউইরা। এরমধ্যে ৪টি জিতে ইংল্যান্ড, ৩টি হয় ড্র।
দীর্ঘদিন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিততে না পারার কাজটা এবার সম্পন্ন করতে চায় নিউজিল্যান্ড। শুধুমাত্র সিরিজই নয়, এখন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের স্বপ্নও দেখছে নিউজিল্যান্ড। অকল্যান্ডে দিবা-রাত্রির পর স্বাভাবিক সময়ে ফেরা এ টেস্ট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের কোচ আত্মপ্রত্যয়ী মাইক হেসন, ‘আমাদের সামনে সিরিজ জয়ের বড় সুযোগ, ড্র’র কথা চিন্তা করা যাব না। এটি অনেক বড় ও গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ। গত ছয় মাস ধরে আমরা এই সিরিজ নিয়ে পরিকল্পনা করেছি এবং আগামী কয়েকদিন তা প্রমাণ করতে হবে।’
তবে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট বলেছেন, ‘ভালো ফলের আশা নিয়েই এখানে আমরা এসেছিলাম। কিন্তু প্রথম টেস্টে আমরা বাজে পারফরমেন্স করেছি। দ্বিতীয় টেস্টে দল ঘুড়ে দাঁড়াবে এবং সিরিজ হার এড়াবে। ক্রাইস্টচার্চে জিততে না পারলে অতীতের রেকর্ড আমাদের পক্ষে থাকবে না। তাই ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আমরা দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলত নামব।’
নিউজিল্যান্ড দল
কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ইশ সোধি, ট্রেন্ট বোল্ট, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, ম্যাট হেনরি, টম লাথাম, হেনরি নিকোলস, জিত রাভাল, টিম সাউদি, রস টেইলর, নিল ওয়াগনার ও বিজে ওয়াটলিং।
ইংল্যান্ড দল
জো রুট (অধিনায়ক), মঈন আলী, জেমস এন্ডারসন, জনি বেয়ারস্টো, স্টুয়ার্ট ব্রড, অ্যালিষ্টার কুক, জ্যাক লিচ, বেন ফোকস, লিয়াম লিভিংস্টোন, ডেভিড মালান, ক্রেইগ ওভারটন, বেন স্টোকস, মার্ক স্টোনম্যান, জেমস ভিন্স, ক্রিস ওকস ও মার্ক উড।