চলতি বছরের আগস্টে শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড এবং ভারতের মধ্যকার পতৌদি ট্রফি। এ সিরিজের মাধ্যমেই শুরু হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্র। প্রথমবারের মত এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী সিরিজের আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড। ৪ আগস্ট শুরু হতে যাওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্রের পয়েন্ট পদ্ধতিতেও আসছে কিছু পরিবর্তন।
ইন্টারন্যাশল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ফিউচার ট্যুর প্ল্যান (এফটিপি) অনুযায়ী দ্বিতীয় চক্রের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মেয়াদকাল চলতি বছরের আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। এবারের আসরে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হবে মাত্র দুইটি। ইংল্যান্ড এবং ভারতের পতৌদি ট্রফির বাইরে চলতি বছরে অনুষ্ঠিতব্য অ্যাশেজ সিরিজে থাকবে পাঁচটি টেস্ট।
দ্বিতীয় চক্রে চার ম্যাচের সিরিজ থাকবে একটি। ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফরে চারটি টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হবে সাতটি এবং ১৩ টি দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। সব সিরিজের দিনক্ষণ নির্ধারিত থাকলেও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় ফাইনালের ভেন্যু এবং সময় এখনও জানায়নি আইসিসি।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম পর্বের অনেকগুলো সফর স্থগিত করা হয়েছে। সে সিরিজগুলোকে দ্বিতীয় চক্রের অন্তর্ভূক্ত করবে আইসিসি। আইসিসির এ ঘোষণায় পূর্বে স্থগিত হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কোনো সিরিজই বাতিল হবে না।
ক্রিকেট বিশ্বের মোড়ল হিসেবে পরিচিত ভারত, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া এ তিন দলের মধ্যেই চ্যাম্পিয়নশিপের বড় সিরিজগুলো অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ছয়দেশের মধ্যে দুই এবং তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্রে সবচেয়ে বেশি ২১ টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে ইংল্যান্ড। ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা খেলবে যথাক্রমে ১৯, ১৮ এবং ১৫ টি করে টেস্ট। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী নিউজিল্যান্ড খেলবে ১৩ টেস্ট। নিউজিল্যান্ডের সমানসংখ্যক টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কা। উপমহাদেশে আরেকদল পাকিস্তানের সামনে ১৪ টেস্ট খেলা সুযোগ থাকছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশপের ফাইনালের নয় দলের মধ্যে সবচেয়ে কম ১২ টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। একমাত্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশই সবগুলো দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রত্যেক সিরিজের জন্য ১২০ পয়েন্ট করে বরাদ্দ থাকলেও এবার সে নিয়ম থেকে সরে এসেছে আইসিসি। বরং প্রতি ম্যাচের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক পয়েন্ট থাকছে। টেস্ট জয়ী দল পাবে ১২ পয়েন্ট। ম্যাচ ড্র হলে দুই দলই পাবে সমান সংখ্যক ৪ পয়েন্ট আর ম্যাচ টাই হলে থাকবে ৬ পয়েন্ট।
প্রতি ম্যাচের জন্য পয়েন্ট নির্দিষ্ট করায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ অবস্থান ইংল্যান্ডের জন্য নিশ্চিত হয়। তবে সে সমস্যারও সমাধান দিয়েছে আইসিসি। দলগুলো যতগুলো ম্যাচ খেলবে সে ভিত্তিতে প্রাপ্ত পয়েন্টের ভগ্নাংশের ভিত্তিতে পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
ক্রিকেট বিষয়ক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিওফ অ্যালারডাইস। আগের আসরের মত এবারও স্লো ওভার রেটের জন্য এক পয়েন্ট করে কাটা হবে।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]