শ্রীলঙ্কার করা প্রথম ইনিংসের বিপরীতে ব্যাট করতে নেমে ২৫১ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ওপেনার তামিম ইকবালের ৯২ এবং অধিনায়ক মমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের চল্লিশ ঊর্ধ্ব ছাড়া আর কেউ ব্যাট হাতে দাঁড়াতে পারেননি।
বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিয়ে প্রথম ইনিংস থেকে ২৪২ রানের লিড পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা। ৪৯৩ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা।
শনিবার (১ মে) প্রথম সেশনেই শ্রীলঙ্কা ইনিংস ঘোষণার পর ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটি থেকে ৯৮ রান পায় টাইগাররা। সাইফ হাসান ব্যক্তিগত ২৫ রানে সাজঘরে ফিরলে ওপেনিং জুটি ভাঙে। এর আগেই ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকা তামিম ইকবাল টেস্ট ক্যারিয়ারের ৫১তম অর্ধশত পূণ করেন। ৫৭ বরে ৮টি চারের মারে ৫০ করেন তিনি।
প্রথম জুটি থেকে ৯৮ রান আসলে দ্বিতীয় জুটি থেকে আসে মাত্র ১ রান। দলীয় ৯৯ রানে খালি হাতে সাজঘরের পথ ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫২ রানের পার্টনারশীপ পায় বাংলাদেশ।
ওপেনার তামিম ইকবাল আবারও নার্ভাস নাইনটিতে আউট হলে অধিনায়ক মমিনুল হকের সাথে তার ৫২ রানের জুটি ভাঙে। ১৫০ বল মোকাবেলা করে ১২টি চারের মারে ৯২ রানে আউট হন তামিম।
তামিমের পর মমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের জুটি থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি আসে। মুশফিকুর রহিম ৪০ রানে আউট হলে তাদের ৬৩ রানের জুটি ভাঙে। এর আর উল্লেখ করার মতো কোন জুটি গড়েতে পারেনি বাংলাদেশ। মুশফিক চলে যাওয়ার ১০ রান পর অধিনায়ক মমিনুলও ফিরে সাজঘরে।
মেন্ডিসের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে অর্ধশত থেকে মাত্র ১ রান দূরে থেকে ফিরেন মমিনুল। ১০৪ বলে খেলে ৭টি চারের মারে ৪৯ রান করেন তিনি। এরপর বাকি ছয় ব্যাটারের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজের ১৬ রান ছাড়া আর কেউ দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি। তার মধ্যে শেষে তিনজন রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেছেন সাজঘরে।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে অভিষিক্ত প্রাভিন জয়াবিক্রমা ৩২ ওভার বল করে ৯২ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৬টি উইকেট। এছাড়া সুরাঙ্গা লাকমাল এবং রমেশ মেন্ডিস ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]