বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে ছিলেও একাদশে সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের পেসার শরিফুল ইসলামে। তবে পাঁচদিনের উত্তেজনা, উৎকণ্ঠা, রোমাঞ্চ সবই সামনে থেকে দেখেছেন তিনি। প্রথমবারের মতো এক কাছ থেকে দেখে টেস্ট ক্রিকেটের রোমাঞ্চের মুগ্ধ হয়েছেন শরিফুল।
পাল্লেকেলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টটি ড্র হয়েছে। ব্যাটিং উইকেট হওয়ায় বোলাররা ছিলেন অসহায়। দু’দলের ব্যাটারদের সেশন বাই সেশনের পারফরমেন্সে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ড্র হয়েছে।
নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অভিষেকের পর প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন শরিফুল। তবে সিরিজের প্রথম টেস্টের একাদশে সুযোগ হয়নি শরিফুলের। সুযোগ না পেলেও শরিফুল বুঝতে পেরেছেন পাঁচদিনের টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিটি সেশনেই কঠিন লড়াই করে টিকে থাকতে হয়। ব্যাটার হলে ক্রিজে রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয়, বোলার হলে উইকেটের জন্য থাকতে হয় মরিয়া।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পাঠানো একটি ভিডিওতে শরিফুল বলেন, ‘আগে কখনো আমি এতো কাছাকাছি থেকে টেস্ট দেখিনি, এটা আমার জন্য খুব আনন্দের ছিল। টেস্ট ম্যাচ আসলেই একটি মজাদার খেলা। প্রতি সেশনে ম্যাচের চিত্র পরিবর্তন হয় এবং বার-বার বার্তা প্রেরণ করা হয়।’
একাদশের হয়ে মাঠে না নামলেও শরিফুলের মনে হয়নি তিনি খেলছেন না। ডাগআউটে বসে থেকেও মনে হয়ে মাঠেই খেলছেন। বলেন, ‘ডাগআউট থেকে এগুলো দেখার পরেও আমার মনে হয়নি, আমি ম্যাচের বাইরে আছি। আমার সবসময় মনে হয়েছিল, আমি এ ম্যাচটি খেলছি।’
১৫ সদস্যের প্রথম টেস্টের দলে ছিলেন পেসার শরিফুল। তবে তাকে ছাড়া তিন পেসার আবু জায়েদ রাহী, এবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদকে নিয়ে একাদশ সাজায় বাংলাদেশ। একই মাঠে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বার থেকে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে স্কোয়াড এখনো ঘোষণা হয়নি।
শরিফুলের কাছে টেস্ট ক্রিকেট যেমন আনন্দের, তেমনি উত্তেজনাপূর্ণ আবার কঠিনও বটে। বলেন, ‘টেস্ট খেলাটি কিছুটা কঠিন, যে পরিবেশে ম্যাচটি হয়েছে তা সত্যিই কঠিন। তাপ বেশি ছিল, পেসারদের ঘন ঘন পানির প্রয়োাজন ছিল। সব মিলিয়ে দেখে মনে হচ্ছিল, তারা একটু মজা পেয়েছে এবং সমস্যাও ছিল। তবে সমস্যাগুলো ম্যাচেরই অংশ। এটি আমাদের হাতে নেই। তবে ম্যাচ জিততে আমাদের ভালো করতে হবে।’
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দলে থাকা শরিফুল জানান, টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে, নিজের সেরাটা উজার করে দিবেন।
বলেন, ‘সেরা একাদশে সুযোগ পেলে আমি আমার সেরাটা দিব। আসলে আমি যখন খেলতে শুরু করেছি, আমি ভেবেছিলাম তিন ফরম্যাটেই খেলবো। আমার শৈশব কোচও টেস্ট খেলোয়াড় ছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন, টেস্ট ক্রিকেটই আসল খেলা। নিজেকে টেস্ট ক্রিকেটার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন আছে। কখনও টেস্ট খেলার সুযোগ পেলে ভালো করতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।’
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]