নাজমুল হোসেন শান্তর পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যান্ডি টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মমিনুল হক। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। তবে দ্বিতীয় সেশনে শান্ত ১৬৩ ও মমিনুল ১২৭ রানে আউট হয়েছেন। শান্ত-মমিনুলের এমন ইনিংসের সুবাদে দ্বিতীয় দিন শেষেও চালকের আসনে বাংলাদেশ।
আলো স্বল্পতার কারণে দ্বিতীয় দিনের খেলা ২৫ ওভার খেলা মাঠে গড়ায়নি, তার আগেই শেষ হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১৫৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৭৪ রান। শান্ত-মমিনুল ছাড়াও তামিম ইকবালের ৯০ রানের একটি ইনিংস রয়েছে।
ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার (২১ এপ্রিল) টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টেস্টের প্রথম দিন শেষে ২ উইকেটে ৩০২ রান করেছিল বাংলাদেশ। শান্ত ১২৬ ও মমিনুল ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কার বোলারদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেন তারা দু’জন।
সেঞ্চুরির স্বপ্ন নিয়ে দিন শুরু করেন মমিনুল। টেস্ট ক্যারিয়ারে ১০টি সেঞ্চুরি থাকলেও বিদেশের মাটিতে কোন সেঞ্চুরি ছিল না টাইগার অধিনায়কের। ফলে বিদেশের মাটিতে সেঞ্চুরির বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে বেশ সর্তকও ছিলেন মমিনুল।
অবশেষে দিনের ১১তম ওভারে বিদেশের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ হয় তার। শ্রীলঙ্কার স্পিনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ব্যাক-ওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি তুলে নেন মমিনুল। ২২৪তম বলে কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির দেখা পান মমিনুল। ৪৩ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ১১তম ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ সেঞ্চুরি বাংলাদেশ অধিনায়কের।
মমিনুলের সেঞ্চুরি হাকানোর কিছুক্ষণ পরই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিকে দেড়শতে নিয়ে যান শান্ত। বাংলাদেশের ইনিংসের ১১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে শ্রীলঙ্কার স্পিনার ধনাঞ্জয়াকে বাউন্ডারি মেরে দেড়শতে পা রাখেন শান্ত।
মমিনুলের সেঞ্চুরি ও শান্তর দেড়শর উপর ভর করে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটিও দারুণ কাটে বাংলাদেশের। ২ উইকেটে ৩৭৮ রান নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। শান্ত ১৫৫ ও মমিনুল ১০৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বিরতি থেকে ফিরে নিজেদের ইনিংস বড় করছিলেন শান্ত ও মোমিনুল। তবে দলীয় ৩৯৪ রানে ভাঙে তাদের জুটি। শ্রীলঙ্কার পেসার লাহিরু কুমারার বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন শান্ত।
৩৭৮ বল খেলে ১৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৬৩ রান করেন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে শান্ত-মোমিনুল রেকর্ড ২৪২ রান যোগ করেন। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ২৩৬ রানের। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে সেটি করেছিলেন মমিনুল ও মুশফিকুর রহিম। শান্তকে নিয়ে সেই রেকর্ড ভাঙলেন মমিনুল।
শান্তর আউটের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি মমিনুলও। ব্যক্তিগত ১২৭ রানে থামেন তিনি। ৩০৪ বল খেলে ১১টি চারে নিজের ইনিংস সাজান মমিনুল।
৪২৪ রানে মমিনুলের বিদায়ে ক্রিজে জুটি বাঁধেন মুশফিকুর রহিম ও উইকেটরক্ষক লিটন দাস। দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। দলের স্কোর আরও বড় করার পরিকল্পনায় ছিলেন মুশফিক-লিটন। ৯১ বলে জুটিতে ৫০ রান তুলেন তারা। তবে ১৫৫তম ওভারের পর আলো স্বল্পতায় বন্ধ হয় খেলা। পরবর্তীতে শেষ সেশনে আর মাঠে গড়ায়নি ব্যাট-বলের লড়াই।
দিন শেষে মুশফিক ৪৩ ও লিটন ২৫ রানে অপরাজিত আছেন। শ্রীলঙ্কার বিশ্ব ফার্নান্দো ২টি, কুমারা-ধনাঞ্জয়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]