দু’দিনে সর্বমোট ১২ ঘণ্টা খেলার পরই নিষ্পত্তি হয়েছে ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যকার আহমেদাবাদের দিবা-রাত্রির টেস্ট। ম্যাচটিতে পতন হওয়া ৩০টি উইকেটের মধ্যে ২৮টিই নিয়েছেন দু’দলের স্পিনাররা। পাঁচদিনের ম্যাচ ১২ ঘণ্টায় শেষ হলেও জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা ভারত দল। তবে এ টেস্ট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা সর্বত্র। কিন্তু এমন উইকেটকে ভালো বলছেন ভারতের অধিনায়ক কোহলি।
ম্যাচে ভারতের তিন স্পিনার বাঁ-হাতি অক্ষর প্যাটেল ১১টি, অশ্বিন ৭টি ও ওয়াশিংটন সুন্দর ১টি উইকেট নিয়েছেন। শততম টেস্ট খেলতে নামা ভারতের পেসার ইশান্ত নেন ১টি উইকেট। অপরদিকে, ইংল্যান্ডের অধিনায়ক রুট ৫টি, জ্যাক লিচ ৪টি ও আর্চার ১টি উইকেট শিকার করেছেন।
দুই ইনিংসে ইংল্যান্ডের রান ছিল যথাক্রমে ১১২ ও ৮১। আর প্রথম ইনিংসে ১৪৫ রান করে ভারত। ৪৯ রানের জয়ের টার্গেট বিনা উইকেটে স্পর্শ করেছে টিম ইন্ডিয়া। ১০ উইকেটের জয়ে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়েও গেছে বিরাট কোহলির দল।
এমন উইকেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মাঝেও অধিনায়ক কোহলি বলেছেন, ‘এটা ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো উইকেট ছিল। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে। আমার মনে হয়েছে বল খুব ভালো ব্যাটে আসছে। মাঝে-মধ্যে দুই-একটা বল টার্ন করেছে।’
কোহলি অবশ্য এমন কথা যুক্তি নিয়েই বলছেন। ম্যাচে যে ৩০ উইকেট পতন হয়েছে, তার ২১টিই সোজা অর্থাৎ টার্ন না হয়েই পতন হয়েছে। তাই খারাপ খেলার জন্য ব্যাটসম্যানদের দিকেই আঙ্গুল তুলছেন কোহলি।
প্রায় সময়ই উইকেটে এমন ধুলা উড়তে দেখা যায়, ছবি : বিসিসিআই
তিনি বলেন, ‘দুই দলের ব্যাটসম্যানরাই খারাপ ব্যাটিং করেছে। দু’দলের বোলাররাও ভালো করেছে। তবে ইংল্যান্ডের চেয়ে আমাদের বোলাররা বেশি ভালো করেছে। উইকেট ভালো বুঝতে পেরেছে প্যাটেল-অশ্বিন। তাই জয়টা আমাদের পক্ষেই এসেছে।’
চতুর্থ ইনিংসের উদাহরণ টেনে কোহলি বলেন, ‘চতুর্থ ইনিংসে তো ইংল্যান্ডের বোলাররা রোহিত-গিলের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি। কারণ, রোহিত-গিল ভালো খেলেছে। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েও কিছুই করতে পারেননি রুট। তাই ব্যাটসম্যানরা ভালো খেলতে পারলে, ম্যাচের দৈর্ঘ্য আরও দীর্ঘস্থায়ী হতো।’
আহমেদাবাদে সর্বমোট ৮৪২ বল খেলা হয়েছে। সময় বিবেচনায় টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ের টেস্টের দিক দিয়ে এটি সপ্তম স্থানে। ১৯৩৫ সালের পর এতো কম সময়ে কোন টেস্ট হয়নি।
এছাড়া বল বিবেচনায় সর্বশেষ ১৯৩৫ সালে ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ম্যাচে ৬৭২ বল খেলা হয়েছিল। আর ১৯৩২ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে ৬৫৬ বল খেলা হয়েছিল। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে কম সময় স্থায়ী ম্যাচ।
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]