২০১২ সালের পর এশিয়ার মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। বলেন, এ সিরিজ জয়ই প্রমাণ করে- আমাদের দল নিয়ে যে সব সমালোচনা করা হচ্ছিল, তা সঠিক ছিল না।
এশিয়ার মাটিতে এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষেই সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ জয় করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবারও তাই ঘটলো। কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে নিয়মিত অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ও সহ-অধিনায়ক রোস্টন চেজেসহ প্রথম সারির ক্রিকেটারদের অনুপুস্থিতিতে ক্যারিবিয় দলটিকে ‘আন্ডার ডগ’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।
২০১৮ সালে পুর্ণশক্তির ক্যারিবীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে এসেও হোয়াটওয়াশ হয়েছিল টাইগারদের কাছে। যে কারণে খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে এখানে এসে সিরিজ জয় করবে সেটি কেউ চিন্তা করেনি। তবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পরও ব্র্যাথওয়েট বার বার বলেছেন, দলটির উপর তার পুরো আস্থা রয়েছে। তারা টেস্ট সিরিজ জয় করতে পারবে।
ঢাকা টেস্টে ১৭ রানে জয়ের মাধ্যমে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করা ছাড়াও দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার লজ্জাও দিয়েছে ক্যারিবীয়রা। ম্যাজ শেষে ক্যারিবীয় অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের কাছে ক্রিকেটই সবকিছু। আমাদের ভক্ত সমর্থকরা গর্বিত হবে। আমাদের বিপক্ষে সবাই লিখে গেছে। তবে আমরা সেটিকে আমলে নেইনি। বরং উপভোগ করেছি। আমরা প্রমাণ করেছি তাদের ধারণা ঠিক ছিল না।’
চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩৯৫ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করে ৩ উইকেটে জয়লাভ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এটিকে দলীয় সামর্থ্যের ফসল বলে বর্ণনা করেন অধিনায়ক ব্রাথওয়েট। সফরকারী দলনেতা বলেন, ‘আমি বলতে চাই, এটি দলগত সফলতা। ওয়ানডে দল ভালো করেনি। তবে এখানে আমরা (ভালো করতে) চেয়েছি। আমাদের একটি পরিকল্পনা ছিল। সেটি আমরা উপভোগ করেছি এবং সিরিজটি জয় করেছি।’
ব্র্যাথওয়েট আরও বলেন, ‘২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো এশিয়ার মাটিতে সিরিজ জয় করাটা দারুণ ব্যাপার। আমরা অনেক খেলোয়াড়কে রেখে এসেছি, অতিক্রম করেছি করোনা প্রটোকল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় আমি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই। ছেলেরা পরিকল্পনার প্রতি অবিচল ছিল, সুশৃঙ্খলভাবে খেলেছে। এদেরকে নিয়ে আমি গর্বিত।’
প্রথম টেস্টে কাইল মায়ার্সের অপরাজিত ২১০ রানের দানবীয় ইনিংসে জয়লাভ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডজ। অভিষেকে তিনিই প্রথম কোন ব্যাটসম্যান চতুর্থ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। তার পাশাপাশি গোটা সিরিজে ধারবাহিক খেলে ২৩১ রান করেছেন সতীর্থ এনক্রুমা বোনার।
দু’জনেরই আলাদা প্রশংসা করেছেন ব্র্যাথওয়েট। বলেন, ‘প্রথম টেস্টে মায়ার্সের পারফর্মেন্স বিষ্ময়কর কিছু ছিল না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে আমি তাকে চিনি। বোনার ও অন্যরা সবাই এই সফরে এগিয়ে যেতে চেয়েছিল। মোসেলে অবশ্য রান পাচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত তিনিও খরা কাটিয়ে উঠেছেন।’
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]