ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪২ রান। সফররত ক্যারিবিয়নদের বিপক্ষে এ রান সংগ্রহ করতে হারাতে হয়েছে ৫টি উইকেট। এছাড়া ব্যাট হাতে অর্ধশত রান করতে পেয়েছেন মাত্র একজন, সাদমান ইসলাম।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ টেস্টে শুরুতেই ওপেনার তামিমকে হারাতে হয়। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ৯ রান করা তামিমকে বোল্ড করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডান-হাতি পেসান কেমার রোচ।
তামিম বোল্ড হওয়ায় ২৩ রানেই বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। এরপর উইকেটে আসেন আরেক বাঁ-হাতি নাজমুল হোসেন শান্ত। নিজের চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে রানের খাতা খোলা শান্তও বেশি দূর যেতে পারেননি।
সাদমানের সঙ্গে দক্ষতার সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের সামাল দিচ্ছিলেন শান্ত। সাদমান-শান্ত জুটিতে ১৮তম ওভারে দলের স্কোর ৫০ স্পর্শ করে। তবে ২৪তম ওভারের প্রথম বলে সাদমানের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়েন শান্ত। ৩টি চারে ৫৮ বলে ২৫ রান করেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে সাদমানের সাথে ১১২ বলে ৪৩ রান যোগ করেন শান্ত। শান্তর আউটের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মমিনুল হক। প্রথম সেশনে ২৯ ওভারে ২ উইকেটে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬৯ রান।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত আর কোন উইকেটের পতন ঘটেনি টাইগারদের। সাদমান ৩৩ ও মমিনুল ২ রানে বিরতিতে যান। বিরতির পর ফিরে সাবধানতার সাথেই খেলছিলেন তারা দু'জন। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাঁ-হাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকানকে বাউন্ডারি মেরে নিজের সপ্তম টেস্টে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন সাদমান।
২০১৮ সালে মিরপুরে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই টেস্ট অভিষেকে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৭৬ রান করেছিলেন সাদমান ইসলাম। তবে এরপর ১০ ইনিংসে আর বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি।
সাদমানের হাফ-সেঞ্চুরি পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অধিনায়ক মমিনুল। ধৈর্য্যর পরীক্ষা দিয়ে খেলতে থাকা মমিনুল খেই হারিয়ে শর্ট মিডউইকেটে জন ক্যাম্পবেলকে হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ওয়ারিকানের বলে সাজঘরে ফেরার আগে ৯৭ বলে ২টি চারে ২৬ রান করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
মমিনুলের সাথে জুটে বেঁধে ১৬৭ বলে ৫৩ রান যোগ করা সাদমান মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে চা-বিরতিতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন। তবে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান ওয়ারিকান। বিরতিতে যাওয়ার ১০ বল আগে সাদমানকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন ওয়ারিকান। ফলে ১৫ রানেই ভেঙে যায় তাদের জুটি। ১৫৪ বলে ৬টি চারে ৫৯ রান করেন সাদমান।
সাদমানের পর উইকেটে আসা সাকিব আল হাসানকে নিয়ে জুটি বাঁধেন মুশফিক। চা-বিরতিতে থেকে ফিরে মুশফিক-সাকিবের জুটিতে বড় পার্টনারশীপের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। প্রথম দিনের সবচেয়ে বড় পার্টনাশীপ হলেও থামতে হয় মুশফিককে।
৭৫তম ওভারে ওয়ারিকান বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন মুশফিক। সাকিবের সাথে ভেঙে যায় ৫৯ রানের জুটি। ৯২ বল মোকাবেলা ৩৮ রান করেন মুশফিক। তার এ ইনিংসে ছয়টি চারের ছিল।
মুশফিককে চলে যাওয়ার পর লিটন দাসকে নিয়ে জুটি গড়েন সাকিব। প্রথম দিন শেষ এ জুটি অপরাজিত রয়েছে। সাকিব ৪ চারে ৩৯ রানে এবং লিটন ৬ চার ৩৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে বল হাতে একই ৩ উইকেট শিকার করেছেন জোমেল ওয়ারিকান। একটি রান আউট ছাড়া বাকি উইকেটটি শিকার করেছেন কেমার রোচ।
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]