ডান-হাতি পেসার কাইল জেমিসনের বোলিং তোপে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দিনই অলআউট হয়ে গেছে পাকিস্তান। ৮৩ দশমিক ৫ ওভার ব্যাট করে ২৯৭ রান করেছে পাকিস্তান। ৬৯ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছেন জেমিসন। নাভার্স-নাইন্টিতে (৯৩ রান) আউট হয়েছে পাকিস্তানের আজহার আলি। দলের পক্ষে এটিই সর্বোচ্চ রান।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। শুরুটাও ভালো করে কিউইরা। তৃতীয় ওভারেই পাকিস্তানের টপ-অর্ডারে আঘাত হানে নিউজিল্যান্ড। সফরকারী দলের ওপেনার শান মাসুদকে খালি হাতে বিদায় দেন স্বাগতিক পেসার টিম সাউদি।
তবে শুরুতে উইকেট হারানোর ধাক্কাটা ভালোভাবেই সামাল দেন আরেক ওপেনার আবিদ আলি ও আজহার। বড় জুটি গড়ার পথেই ছিলেন তারা। কিন্তু মধ্যাহ্ন-বিরতির আগে এ জুটিতে ভাঙ্গন ধরিয়ে পাকিস্তানের বিপদ ডেকে আনেন জেমিসন। ৫৩ বলে ২৫ রান করা আবিদকে নিজের প্রথম শিকার বানান জেমিসন। দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়েন আবিদ-আজহার।
ব্রেক-থ্রুর পর আবারও পাকিস্তানকে চেপে ধরেন জেমিসন। চার নম্বরে নামা হারিস সোহেল ও ফাওয়াদ আলমকে শিকার করেন জেমিসন। হারিস ১ ও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ফাওয়াদ ২ রান করে ফিরেন। ফলে ৪ উইকেটে ৮৮ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যায় পাকিস্তান।
তবে বিরতির পর পাকিস্তানের চিন্তা দূর করেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আজহার। ইনজুরির কারণে এ ম্যাচেও খেলতে পারেননি নিয়মিত অধিনায়ক বাবর আজম। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে দলকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যান রিজওয়ান ও আজহার। মাঝে বৃষ্টির কারণে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধও ছিল। এতে মনোসংযোগে কোন সমস্যা হয়নি রিজওয়ান ও আজহারের।
১৭ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলকে ১৭১ রান পর্যন্ত নিয়ে যান রিজওয়ান ও আজহার। এবারও এ জুটিতে ভাঙ্গন ধরান জেমিসন। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৬১ রানে আউট হন রিজওয়ান। ৭১ বলের ইনিংসে ১১টি চার মারেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। রিজওয়ানের সাথে ৮৮ রানের জুটির পর ক্রিজে ফাহিম আশরাফকে সঙ্গী হিসেবে পান আজহার। তাদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২শ রানের কোটা পেরিয়ে যেতে পারে পাকিস্তান।
জমে যাওয়া জুটিতে এবার বাঁধা হয়ে দাঁড়ান ম্যাট হেনরি। টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩২তম হাফ-সেঞ্চুরি করা আজহারকে বিদায় দেন হেনরি। ১৭২ বলে ১২টি চারে ৯৩ রান করেন আজহার। আউট হওয়ার আগে ফাহিমের সাথে ৫৬ রানের জুটি গড়েন আজহার।
এরপর অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা জাফর গোহারকে নিয়ে দলের রানের চাকা সচল রাখেন ফাহিম। ধীরে-ধীরে বড় হতে থাকা জুটিতে ভাঙ্গন ধরান দিনের সেরা বোলার জেমিসন। ৪৮ রান করা ফাহিমকে আউট করেন তিনি। সেই সাথে ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার পূর্ণ করেন জেমিসন। ষষ্ঠ টেস্ট ম্যাচের ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন জেমিসন।
দলীয় ২৬০ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফাহিমের আউটের পর বাকি তিন উইকেটে ৩৭ রান যোগ করতে পারে পাকিস্তান। ২৯৭ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ৩৪ রান করে সাউদির দ্বিতীয় শিকার হন জাফর। আর পাকিস্তানের শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে আউট করেন নিউজিল্যান্ডের বাঁ-হাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।
জেমিসনের পাঁচ উইকেটের সাথে টিম সাউদি-ট্রেন্ট বোল্ট ২টি করে ও হেনরি ১টি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (টস- নিউজিল্যান্ড)
পাকিস্তান : ২৯৭/১০, ৮৩.৫ ওভার (আজহার ৯৩, রিজওয়ান ৬১, জেমিসন ৫/৬৯)।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]