টেস্ট ক্রিকেটে ২০ বছর পার করলো বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) টেস্ট ক্রিকেটে ২১ বছরে পা রাখলো টাইগার খ্যাত বাংলাদেশ ক্রিকেট। তবে অর্জনের পাল্লাটা কম থাকায় টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের আক্ষেপ বেশি।
২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নামে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ১১৯টি টেস্ট খেলেছে টাইগাররা। দশম দল হিসেবে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর গত ২০ বছরে অন্যান্য দেশের চেয়ে এ সংখ্যা খুবই কম, যা খুবই হতাশার।
১১৯ টেস্টে বাংলাদেশের জয় মাত্র ১৪টি। ড্র ১৬টি, এর মধ্যে বেশিরভাগই এসেছে বৃষ্টির সহায়তায়। আর হার রয়েছে ৮৯টি ম্যাচে। যার মধ্যে ৪৩টি ম্যাচেই ইনিংস ব্যবধানে হার। অর্থাৎ, প্রায় ৫০ শতাংশ ম্যাচে বাংলাদেশ ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চেয়ে টেস্ট ফরম্যাটে বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে রয়েছে -এ পরিসংখ্যান থেকেই বুঝা যায়।যদিও অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো দলকে হারানোর রেকর্ড রয়েছে। দেশের মাটিতে নিজেদের সহায়ক পিচে এ জয়গুলো এসেছে।
বাংলাদেশ প্রথম টেস্টে চোখে পড়ার মতো পারফরমেন্স করলেও নিজেদের অবস্থানকে শক্তপোক্ত করতে পারেনি।জিম্বাবুয়ের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টেই বাংলাদেশের পক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল, ১৪৫ রান।
যেকোন দেশের অভিষেক টেস্টে বুলবুলের ১৪৫ রান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ১৮৭৭ সালে অভিষেক টেস্টে চালর্স ব্যানারম্যান ১৬৫ রান করেছিলেন।
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। প্রতিপক্ষ ভারতের নেতৃত্বে ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। প্রথম ইনিংসে ৪০০ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ভারত ৪২৯ রান করে। ফলে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৯ রানে পিছিয়ে ছিল টাইগাররা।
প্রথম ইনিংসে ভাল করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অসহায় আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশ। মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। টেস্ট ক্রিকেট যে কতটা কঠিন সেটি বুঝতে সময় লাগেনি। প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হারের স্বাদ পায় ৯ উইকেটে।
ম্যাচ হারলেও একটি ভালো দল হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে মন জয় করে নিয়েছিল বাংলাদেশ টেস্ট দল। তবে শুরুর ভালোটা আর ভালো থাকেনি। বাংলাদেশের টেস্ট পারফরমেন্সের গ্রাফটা নীচের দিকেই নেমে গেছে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
তবে টেস্ট ফরম্যাটে কিছু খেলোয়াড়ের আলোকিত পারফরমেন্সও রয়েছেন। টেস্টে মুশফিকুর রহিমের তিনটি ডাবল-সেঞ্চুরি রয়েছে। এছাড়াও একটি ডাবল-সেঞ্চুরি রয়েছে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের।
টেস্ট ক্রিকেটের জন্য আলাদা স্কোয়াড তৈরির চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের মান উন্নয়নের চেষ্টা করছে। যেখানে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে দলগুলোর সফরের ব্যবস্থা করছে বোর্ড। যার প্রভাব দলের পারফরমেন্সে প্রদর্শিত হচ্ছে। কিছু প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়াড় এমন পরিবেশ থেকেই ওঠে এসেছে। যারা ভবিষ্যতের প্রতিভা হিসাবে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]