টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম পেসার হিসেবে সম্প্রতি ৬শ’ উইকেট শিকারের অনন্য মাইলফলক গড়েছেন ইংল্যান্ডের পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। পেসার হিসেবে অ্যান্ডারসনের পর আর কারও পক্ষে ৬শ’ উইকেট শিকার করা কঠিনই হবে বলে মনে করেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকার। তিনি বলেন, পেসার হিসেবে টেস্টে ৬শ’ উইকেট শিকারের রেকর্ডটি তাঁর একারই থাকবে।
অ্যান্ডারসনের প্রশংসা করে সদ্য মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) সদস্যদের একটি ই-মেইল করেছেন প্রেসিডেন্ট সাঙ্গাকারা। সেখানে সাঙ্গাকারা বলেন, ‘জিমি দারুণ মানসম্পন্ন ও দৃঢ় মানসিকতার একজন পেসার। তার অর্জন অসাধারণ, শুধুমাত্র ৬শ’ উইকেট শিকারের জন্যই নয়। তার পরিশ্রম, দলের প্রতি দায়িত্ববোধ ও উন্নতি করার প্রচেষ্টা প্রশংনীয়।’
সাউথ্যাম্পটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের পঞ্চম দিন ৬শ’ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েন অ্যান্ডারসন। পাকিস্তানের অধিনায়ক আজহার আলীকে শিকার করে এই রেকর্ড গড়েন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটে অন্তত ৬শ’ উইকেট শিকারের তালিকায় একমাত্র পেসার অ্যান্ডারসন। স্পিনারদের গ্রহে অ্যান্ডারসনের এমন কীর্তি বিশ্ব ক্রিকেটে প্রশংসনীয়। কারণ টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারে শীর্ষে থাকা তিনজনই স্পিনার। তারা হলেন- শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন, অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন ও ভারতের অনিল কুম্বলে। ১৩৩ ম্যাচে ৮০০ উইকেট নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন মুরালিধরন। ১৪৫ ম্যাচে ৭০৮ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ওয়ার্ন। ১৩২ ম্যাচে ৬১৯ উইকেট তৃতীয়স্থানে কুম্বলে।
বর্তমানে টেস্ট খেলছেন, এদের মধ্যে অন্তত ৫শ’ উইকেট শিকার রয়েছে অ্যান্ডারসনের সতীর্থ স্টুয়ার্ট ব্রডের। ১৪৩ টেস্টে তার শিকার ৫১৪টি। তবে ক্রিকেট ছেড়েছেন এদের মধ্যে আছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোর্টনি ওয়ালশ। ম্যাকগ্রা ১২৪ টেস্টে ৫৬৩ ও ওয়ালশ ১৩২ ম্যাচে ৫১৯ উইকেট শিকার করেছেন।
তাই ৬শ’ উইকেট শিকারের মালিক জিমিই থাকবেন বলেও জানান সাঙ্গাকারা, ‘বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পেসারদের সামনে দুর্দান্ত একটি রেকর্ড দাঁড় করিয়েছে সে। আমার মনে হয়, এই রেকর্ড যা একমাত্র জিমিরই থাকবে।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]