তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুর্দান্ত বোলিংয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। একই সঙ্গে এ জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরলো স্বাগতিকরা।
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও পাঁচ দিনে শেষ হয়েছে। ম্যানচেস্টারে দ্বিতীয় টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১২ রান তাড়া করতে নেমে ১৯৮ রানেই থকমে গেছে জেসন হোল্ডারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে ১১৩ রানের জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড।
টস হেরে ব্যাট করা ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৪৬৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। পরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংস ফলোঅন এড়ালেও ২৮৭ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। প্রথম ইনিংস থেকে ১৮২ রানের লিট পেলেও ব্যাট হাতে মাঠে নামে ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করের জো রুট। আগের ১৮২ রানের সাথে আরও ১২৯ রান যুক্ত হওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩১২। টেস্টের শেষ দিনে জয়ের জন্য এ লক্ষ্য পেয়ে ব্যাটিং শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জয় না পেলেও ড্র করতে পঞ্চম দিনে (সোমবার) ৮৫ ওভার কাটিয়ে দিলেই হতো সফরকারীদের। সেখানে ৭০.১ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে ক্যারিয়ানরা।
চতুর্থ দিন শেষে টেস্টের পঞ্চম দিন সোমবার (২০ জুলাই) ২ উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। খেল শুরুর প্রথম থেকেই বোলারদের ওপর চড়াও হন বেন স্টোকস। আর তাকে সঙ্গ দিয়েছেন অথিনায়ক জো রুট।
টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাটিং করে মাত্র ৩৬ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন স্টোকস। দিনের ১১ ওভারে ৯২ রান যোগ করে ৩ উইকেটে ১২৯ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। পঞ্চম দিনে অধিনায়ক জো রুট ২২ রানের আউট হলেও ৫৭ বলে তিন ছক্কা ও চার চারে ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন বেন স্টোকস।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরি এবং দ্বিতীয় ইনিংসের অপরাজিত ৭৮ রান ও ২ উইকেট নেওয়া বেন স্টোকস ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস : ৪৬৯/৯ (ইনিংস ঘোষণা)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ২৮৭
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস : ১২৯/৩ (ইনিংস ঘোষণা) (স্টোকস ৭৮, রুট ২২, পোপ ১২*; রোচ ৬-০-৩৭-২, গ্যাব্রিয়েল ৭-০-৪৩-০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ৭০.১ ওভারে ১৯৮ (ব্রুকস ৬২, ব্ল্যাকউড ৫৫, হোল্ডার ৩৫, জোসেফ ৯; ব্রড ১৫-৫-৪২-৩, ওকস ১৬-৩-৩৪-২, কারান ৮-৩-৩০-১, বেস ১৫.১-৩-৫৯-২, স্টোকস ১৪.৪-৪-৩০-২)
ফল : ইংল্যান্ড ১১৩ রানে জয়ী
সিরিজ : তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা।