করোনাভাইরাসের কারণে ১১৬ দিন স্থগিত থাকার পর শুরু হওয়া ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে হারলো ইংল্যান্ড। সাউথ্যাম্পটনে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে ইংলিশরা। তবে ম্যাচ শুরুর আগের ৩০ মিনিট থেকেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্টের দু’টি সিদ্ধান্তকে নিয়ে সমালোচনায় মেতে উঠে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
প্রথমটি ছিল, টস জিতেও প্রথমে ব্যাট করা। আর দ্বিতীয়টি ছিল টেস্টে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী স্টুয়ার্ট ব্রড সেরা একাদশে না থাকা। তাই সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট খেলতে নামে ইংল্যান্ড। তবে ম্যাচ জিতে মোক্ষম জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ইংলিশদের। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান-বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সামনে অসহায় ছিল ইংল্যান্ড। হার মানতে হয় স্বাগতিকদের।
হারের পরও সমালোচিত দু’টি সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে জানালেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক স্টোকস। তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্তকে সঠিক বলছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল বড় স্কোর করা। আর স্কোরবোর্ডে বড় স্কোর তুলতে পারার যথেষ্ট সামর্থ্য ছিল আমাদের ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো সুযোগ পেয়েও তা হাতছাড়া করেছে। দু’টি ইনিংসেই বড় জুটি গড়ার পথ তৈরি করেও আমরা পারিনি। যদি আমরা তা পারতাম, তবে ম্যাচের চিত্র পাল্টে যেত। ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছে।’
আট বছর পর দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত টেস্টের একাদশে সুযোগ না পেয়ে সংবাদমাধ্যমে হতাশা-ক্ষোভ ঝেড়েছেন ব্রড। ব্রডের সেই হতাশার খবর সংবাদপত্রে পড়েছেন স্টোকস। তারপরও ব্রডকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, যেমন বলছেন, ঠিক তেমনটি এটিও বললেন- ব্রড যা বলেছে ঠিকই বলেছে।
স্টোকস বলেন, ‘আমি যদি এটি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করি, তবে আমি মনে করি না অন্যদের কাছে সঠিক বার্তাটি যাবে। সে সংবাদমাধ্যমে যা বলেছে ঠিক বলেছে। দারুণ সব কথা বলেছে ব্রড। নিজের আবেগকে দারুণভাবে প্রকাশ করেছে ব্রড। ১শ’ টেস্ট খেলা ইংল্যান্ডের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েও যে আবেগ প্রকাশ করেছে তা যদি সে না করতো তাহলেই আমি অবাক ও উদ্বিগ্ন হতাম। ব্রড দুর্দান্ত একজন বোলার, সে নিজেও জানে, আমরাও জানি। আশা করবো, ভবিষ্যতে সে আরও ভালো পারফরম্যান্স করবে।’
সিরিজে পিছিয়ে পড়লে, বাকি দু’টেস্টে জ্বলে উঠার ইঙ্গিত দিলেন স্টোকস। হাল ছাড়তে রাজি নন তিনি, ‘আমরা জানি আরও দু’টি টেস্ট বাকি আছে এবং সে দু’টিতেই জিততে চাই আমরা। এই অবস্থায় আমরা জানি আমাদের কী করতে হবে, তা হলো শেষ দু’টি টেস্ট জিতে নেওয়া। অতীতেও পিছিয়ে পড়ে আমরা লড়াইয়ে ফিরেছি। তাই আমি বলবো, আমরা মোটেও হতাশ নই। তবে এটাও বলতে পারবো, এমন ম্যাচে আমিই ছিলাম ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]