প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে তিন মাসের বেশি সময় (১১৬ দিন) স্থগিত থাকার পর বুধবার (৮ জুলাই) থেকে মাঠে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তবে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আবারও প্রাণ ফিরে পাওয়া পালন করতে হবে বেশকিছু নতুন নিয়ম।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসের কারণে ক্রিকেট ম্যাচে অনেক দিক-নির্দেশনা জারি করেছে ক্রিকেটের প্রধান সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। সেই সব নিয়ম অক্ষরে-অক্ষরে পালন করতে হবে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের।
জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ক্রিকেটের পাঁচটি নিয়ম বদলেছে আইসিসি। যতদিন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে ততদিন ক্রিকেটের নতুন এ পাঁচ নিয়ম অব্যাহত থাকবে। আইসিসি নতুন নিয়মগুলো হলো- করোনা সাব (খেলোয়াড় বদলি), বলে লালা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, স্থানীয় আম্পায়ার দিয়ে খেলা পরিচালনা, অতিরিক্ত রিভিউ সিস্টেমের অনুমতি এবং জার্সিতে বাড়তি লোগোর ব্যবহার।
বলে থুথু ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত খেলোয়াড়রা ম্যাচ চলাকালীন বল-এ থুথু ব্যবহার করতে পারবেন না। কেউ যদি অভ্যাসবশত ভুলে ব্যবহার করে ফেলেন তাহলে আম্পায়াররা একবার সতর্ক করবেন।
সতর্ক করার পরও একই কাজ বার বার করলে জরিমানা হিসেবে ব্যাটিং দলকে অতিরিক্ত পাঁচ রান দেওয়া হবে। প্রতি ইনিংসে একটি দলকে সর্বোচ্চ দুইবার সতর্ক করা হবে। থুথু ব্যবহার হলে সেটি ভালোভাবে মুছে আবার খেলা শুরু করতে হবে।
করোনা সাব
অ্যাশেজ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চালু হয় ‘কনকাশন সাব’। অর্থাৎ টেস্ট ম্যাচে কোন খেলোয়াড় মাথায় আঘাত পেলে তার পরিবর্তে একই ক্যাটাগরির অন্য খেলোয়াড়কে নামানো হয়। সে নিয়মের সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে ‘করোনা সাব’।
টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন কোন খেলোয়াড়ের মধ্যে যদি করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায় বা আক্রান্ত খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে ম্যাচ রেফারির অনুমতিতে অন্য একজন খেলোয়াড়কে মাঠে নামানো যাবে। এ নিয়মটি শুধুমাত্র টেস্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
স্থানীয় আম্পায়ার দিয়ে খেলা পরিচালনা
সাধারণত দ্বিপাক্ষীক সিরিজে একজন নিরপেক্ষ দেশের আম্পায়ার থাকেন। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে দ্বিপাক্ষীক সিরিজে যারা স্বাগতিক থাকবেন তারা স্থানীয় বা ম্যাচ খেলা দু’দেশের আম্পায়ারদের দিয়েই খেলা পরিচালনা করা যাবে। কারণ, ভ্রমণে বিধি-নিষেধ থাকায় নিরপেক্ষ আম্পায়ার দিয়ে এ মুর্হূতে ম্যাচ পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
স্থানীয় আম্পায়ারের ক্ষেত্রে আইসিসিই তাদের আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের প্যানেলভুক্ত আম্পায়ারদের মধ্য থেকে আম্পায়ার ও রেফারি ঠিক করে দেবে।
অতিরিক্ত ডিআএস
টেস্ট ক্রিকেটে সাধারণত ২টি, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটি করে ডিআরএস ব্যবহার হতো। কিন্তু করোনা পরবর্তী টেস্টে প্রতি ইনিংসে তিনটি ডিআরএস, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দু’টি করে ডিআরএস নেওয়া যাবে। অর্থাৎ করোনার কারণে তিন ফরম্যাটে এখন একটি করে ডিআরএস বেড়ে গেছে।
জার্সিতে বাড়তি লোগো
১২ মাসের জন্য জার্সিতে বাড়তি লোগো ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে আইসিসি। তবে সেটি ৩২ স্কয়ার ইঞ্চির বেশি হতে পারবে না। খেলোয়াড়দের বুকে লোগো থাকবে। আগে টেস্টে এটি ব্যবহার হতো না। শুধু ব্যবহার হতো ওয়ানডেতে। এছাড়া বাকি তিনটি লোগো ব্যবহারের নিয়মনীতি আগের মতোই থাকবে।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস]