প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে দেশের ১০ জন ক্রিকেটার আক্রান্ত হলেও নতুন করে স্কোয়াড ঘোষণা করে ইংল্যান্ড সফরে গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। করোনায় বিধ্বস্ত পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে কিছুটা অপরিপক্কই মনে হচ্ছে। তবে ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগে প্রস্তুতিতে কোন ঘাটতি রাখতে চান না কোচ মিসবাহ-উল-হক।
সেপ্টেম্বরে তিন ম্যাচের এ টেস্ট শুরু হলেও এক মাস আগেই ইংল্যান্ড সফরে গেছে ২০ সদস্যের পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এছাড়া কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা আরও ৬ জন দলের সাথে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
কোভিড-১৯ ভাইরাসের বৈশ্বিক সংক্রমনে ক্রিকেটের অনেক কিছুতেই পরিবর্তন ঘটেছে। দর্শক বিহীন স্টেডিয়ামে খেলতে হবে ম্যাচ। বলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করা যাবে না মুখের লালা। এমন এক পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের অধিনায়ক আজহার আলী এবং তার দল আবিস্কার করবে, ছয় মাসে ক্রিকেটে কতটুকু পরিবর্তন ঘটেছে।
পাকিস্তান স্কোয়াডের অধিকাংশ সদস্যই এখন ইংল্যান্ডে। পুরো সিরিজের ম্যাচগুলো বায়ো সুরক্ষিত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে যে সময়ের প্রয়োজন তাতে কোন সন্দেহ নেই। মূলত মূল পর্বে মুখোমুখি হওয়ার আগেই ‘নতুন পরিবেশে’ মানিয়ে নিতে অনেক আগেই ইংল্যান্ড গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
পাকিস্তানের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড। ক্যারিবিয় সিরিজও একইভাবে বায়ো সুরক্ষিত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে পাকিস্তানের সাথে মুখোমুখি হওয়ার আগে করোনা পরবর্তী নিজের ভালোভাবেই দেখে নিতে পারবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল।
এদিকে মিসবাহ উল হকের নেতৃত্বে সর্বশেষ ২০১৮ সালের দুই সিরিজের ফলাফলের কারণে কিছুটা মাথা উঁচু করেই ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছে পাকিস্তান। অন্যদিকে ২০১৪ সালের পর কোন হোম সিরিজও হারেনি ইংল্যান্ড।
এছাড়া সফররত পাকিস্তান দলে পেস আক্রমণও এখন কিছুটা ভোতা। পাক আক্রমণের অগ্রভাগে থাকাদের মধ্যে কেবল মাত্র মোহাম্মদ আব্বাসের ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়া ১৭ বছর বয়সী বিষ্ময় বালক নাসিম শাহ ও শাহিন আফ্রিদির রয়েছে সর্বমোট ১২ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা।
স্কোয়াডে থাকা আরেক বোলার ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডকে কাপিয়ে দেওয়া মিডিয়াম পেসার সোহেল খানের দুর্বলতা হচ্ছে ওই বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টের পর আর কোন টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নেই তার।
ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রার আগে পাকিস্তান অধিনায়ক আজাহার বলে গেছেন, ম্যাচ সংখ্যার বিচারে পাকিস্তানের চেয়ে ইংল্যান্ড অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তবে আমাদের যেমন দক্ষতা রয়েছে, তেমনি তরুণ পেসারদের অনেক বৈচিত্রতা রয়েছে। তারা বিশ্বের যেকোন দলকেই বেকায়দায় ফেলার যোগ্যতা রাখে।
এদিকে ররি বার্নস, ডম সিবলি, জো ডেনলি ও জ্যক ক্রাওলি ইংল্যান্ডের শীর্ষ ব্যাটিং অর্ডারে থাকছে। আর এটিকে সুযোগ হিসেবে ভাবছেন আজাহার। বলেন, এলিস্টার কুকের অবসরের পর ইংলিশ শীর্ষ ব্যাটিং অর্ডারে মাঝে মাঝে কিছুটা ভঙ্গুরতা দেখা গেছে।
১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ জয়ের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোচ ওয়াকার ইউনিস ও মুস্তাক আহমেদের কাছ থেকেও অনেক কিছু অর্জনের সুযোগ পাবেন পাকিস্তান বোলাররা। সাবেক অধিনায়ক ইউনিস খানকেও এ সিরিজে ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব দিয়েছে বোর্ড। প্রথমে ব্যাটিং করলে পাকিস্তান দলকে প্রথম ইনিংসে অন্তত তিন শতাধিক রান সংগ্রহের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন ইউনিস।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]