ক্রিকেট বিশ্বের দলগুলো এক সময় বাংলাদেশকে প্রতি ম্যাচেই হারাতো। তবে সময়ে সাথে পাল্টে গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। তিন ফরম্যাটের মধ্যে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে পিছিয়ে থাকলেও ওয়ানডে ক্রিকেটে বেশ শক্তিশালী দল বাংলাদেশ। ওয়ানডে ম্যাচে টাইগারদের ভয় পায় না এমন দল নেই।
২০০৭ বিশ্বকাপে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নিজেদের সম্পর্কে বার্তা দিলেও বাংলাদেশের পরিবর্তন জোড়ালোভাবে চোখে পড়ে ২০১০ সালে। এরপর ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে নতুন এক বাংলাদেশকে পায় ক্রিকেট বিশ্ব।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে সকল ক্রীড়াযজ্ঞ। বন্ধ রয়েছে ক্রিকেটের সকল ইভেন্ট। খেলা বন্ধ ও ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে খোদ আইসিসিও প্রদান কার্যালয় বন্ধ রয়েছে অনলাইনে অফিস কার্যক্রম চালাচ্ছে।
খেলা বন্ধ থাকায় পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে আইসিসি। সম্প্রতি তেমনি বাংলাদেশকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যেখানে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা ৫টি জয়ের মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ স্মরণীয় মুহূর্ত
১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়
আইসিসির চোখে বাংলাদেশ দলের সেরা জয়ের মুহূর্ত ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাওয়া জয়। যেটার ওপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে সামনের দিকে এগিয়েছে।
ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনের সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২২২ রান করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে ৪৪.৩ ওভারে ১৬১ অলআউট হয়ে যায় ওই বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টরা। ৬২ রানের সহজ জয় পেয়েছিল আমিনুল ইসলামের বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
২০০৭ বিশ্বকাপের ভারতের বিপক্ষে জয়
আইসিসির চোখে টাইগারদের দ্বিতীয় সেরা জয়ের মুহূর্ত হলো- ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক জয়। ওয়েস্ট ইন্ডজের পোর্ট অব স্পেনে এ জয়ে দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে নিজেদের সম্পর্কে বার্তা দিয়েছিল বাংলাদেশ।
ম্যাাচে প্রথমে ব্যfট করে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৯০ রানে গুটিয়ে যায় গাঙ্গুলি, শেবাগ, টেন্ডুলকারের ভারত। জবাবে তামিম, মুশফিক ও সাকিবের অর্ধশতকে ৫ উইকেটর সহজ জয় পায় হাবিবুল বাশারের বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়
আইসিসি এ তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষের জয়। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে আগে ব্যাট করে মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের ৮৯ রানে ৭ উইকেটে ২৭৫ রান করে মাশরাফির দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৬০ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ফলে ১৫ রানের জয় পায় টাইগাররা।
বাংলাদেশের কাছে এ হারের কারণে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। অন্যদিকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ।
২০১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়
চার নম্বরে রয়েছে সর্বশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগারদের জয়। দ্য ওভালে প্রথমে ব্যাট করে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের অর্ধশতকে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান করে টাইগররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩০৯ রানে থেমে যায় প্রোটিয়ারা। ফলে ২১ রানের জয় পায় মাশরাফির দল।
২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়
তালিকার পাঁচ নম্বরে এসে ২০১১ সালে চলে গেছে আইসিসি। ২০১১ বিশ্বকাপে দেশের মাটিতে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া জয়টি টাইগারদের স্মরণীয়ে তালিকার ৫ নম্বরে রেখেছে আইসিসি।
ওই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা ইংল্যান্ডকে ৪৯.৪ ওভারে ২২৫ রানে অলআউট করে দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ১৬৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়েও শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শফিউল ইসলামের ব্যাটে ভর করে এক ওভার বাকি থাকতে ২ উইকেটের জয় তুলে নেয় সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ দল।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]