ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ওয়ানডে ক্রিকেটে। টাইগারদের এ ফরম্যাটে মাশরাফির স্থানে দাঁয়িত্ব পেয়েছেন ওপেনার তামিম ইকবাল।
ওয়ানডে ফরম্যাটে ভালো হলেও এ ফরম্যাটে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো সময় ছিল ২০১৫ সাল। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে সাফল্যের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। এরপর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও জিতেছে সিরিজ। টাইগারদের নতুন অধিনায়কও এবার বললেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে সেই ২০১৫ সালের সময়কে ফিরিয়ে আনতে চান।
জনপ্রিয় ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তামিম ইকবাল। বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিশেষ করে ওয়ানডেতে ২০১৫ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর একটা বছর। আমাদের পারফরম্যান্সের সূচক কিছুটা উত্থান-পতনময়। অধিনায়ক হিসেবে আমি এটাকে উপরে তুলতে চাই। হয়তো ওই উত্থান-পতনই ভবিষ্যতেও কিছুটা থাকবে। কিন্তু দল হিসেবে আমরা ধারাবাহিক হতে চাই।’
তামিম বলেন, ‘আমাদের ওয়ানডে ফরম্যাটে সঠিক পথে হাঁটতে হবে। এখন অবশ্য আমরা এ ফরম্যাটে খুব বেশি খেলছি না। কারণ এখন বেশি টি-২০ ম্যাচই হচ্ছে। তবে দল হিসেবে আমরা কী অর্জন করতে চাই সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে আমরা ভিন্ন এক দল ছিলাম। এখন আবার আমাদের হাতে অনেক তরুণ ক্রিকেটার। আমি নিশ্চিত আমাদের সবগুলো কাজ আমরা ঠিকঠাক করতে পারলে ২০১৫ সাল ফিরে না আসার কারণ নেই।’
তামিমের আশা, মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের সঙ্গে তরুণরাও এগিয়ে আসবে। তরুণরা এগিয়ে আসলে বড় দলের বিপক্ষে জয় পাবে বাংলাদেশ এবং ঘুরে দাঁড়াবে।
তামিম বলেন, ‘আমাদের দলে এখন চার-পাঁচজন তরুণ ক্রিকেটার আছে। নাঈম, আফিফ, বিপ্লব ওরা নতুন। তাইজুল পাঁচ-ছয় বছর খেললেও ওয়ানডে ফরম্যাটে নতুন। একটা বড় জয় এ দলটাকে আত্মবিশ্বাস দেবে। যখন আমরা ম্যাচ জেতা শুরু করবে, আত্মবিশ্বাস এমনিতে বেড়ে যাবে।’
লিটন দাসকে নিয়ে তামিম বলেন, ‘লিটন দাসের মানসিকতা বদলে গেছে। এখন ৭০-৮০ রান করার পরও তার ক্ষুধা শেষ হয় না। রেকর্ড ভাঙা ১৭০ রান করার পরও সে আরও ভালো করতে চায়। আমি আশা করছি, সবাই তার পথ অনুসরণ করবে।’
মুশফিককে নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমাদের সামনে আরেকটি উদাহরণ মুশফিকুর রহিম। খারাপ সময়ে তিনি খুবই পরিশ্রম করেন। তার মতো করে সবাই ভাবলে অধিনায়ক, কোচের কাজটা খুবই সহজ হয়ে যায়।’
করোনাভাইরাসের কারণে দেশে চলমান অবস্থা নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমি পুরোপুরি লকডাউন অবস্থায় আছি। করো সঙ্গেই দেখা করছি না। এখনও আমাদের জন্য এটা (করোনাভাইরাস) প্রাথমিক পর্যায়ে। ভাগ্যক্রমে আমার বাসায় একটা ট্রেডমিল (হাঁটা বা দৌঁড়াবার মেশিন) আছে। সকালে আমি ট্রেডমিলে দৌঁড়াচ্ছি। বাকি সময়টা বাচ্চাদের সঙ্গেই কাটাচ্ছি।’