প্রথম দিনেই অঘটনের জন্ম দিল ওল্ড ডিওএইচএস

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ১০:৫৮ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২০
প্রথম দিনেই অঘটনের জন্ম দিল ওল্ড ডিওএইচএস

দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) প্রথম দিনই অঘটনের জন্ম দিল ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব। তারুণ্য নির্ভর এ ক্লাবটি তারকা সমৃদ্ধ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ২৫ রানে হারিয়ে দিয়েছে।

রোববার (১৫ মার্চ) সাভারের বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে মুখোমুখি হয় ওল্ড ডিওএইচএস-রূপগঞ্জ। ওল্ড ডিওএইচএস দলে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয় করা মাহমুদুল হাসান জয়, রকিবুল হাসান ও অভিষেক দাস। এছাড়া দলটিতে তারকা বলতে কেউই ছিলেন না।

অন্যদিকে রূপগঞ্জে ছিলেন- সাব্বির রহমান, নাঈম ইসলাম, মেহেদি মারুফ, সানজামুল ইসলাম, সোহাগ গাজী, মোহাম্মদ শহীদ, শফিউল ইসলাম ও আল-আমিন হোসেনের মত তারকারা। ফলে কাগজে-কলমে শক্তির বিচারে এগিয়েই ছিল রূপগঞ্জ।

এমন ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রূপগঞ্জ। ব্যাট হাতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনাই এনে দেন ওল্ড ডিওএইচএসের দুই ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন ও রাকিন আহমেদ। সানজামুল-গাজী-শহীদ-শফিউল-আল আমিনের মত শক্তিশালী বোলিং লাইন-আপ রূপগঞ্জের থাকার পরও ওল্ড ডিওএইচএসের ইমন ও রাকিন ২৩ ওভারে ১০৬ রান তুলেন।

অবশেষে ২৪তম ওভারের প্রথম বলে ভাঙে ইমন-রাকিন উদ্বোধনী জুটি। ৫৯ রান করা ইমনকে শিকার করে ওল্ড রূপগঞ্জকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার গাজী। ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৬ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান ইমন।

হাফ-সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় গিয়ে থামেন রাকিন। ৪টি চারে ৭৭ বলে ৪৮ রান করে পেসার আল-আমিনের শিকার হন তিনি।
দলীয় ১৩০ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পরও দলের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন জয়। মারমুখী মেজাজে ব্যাট করছিলেন তিনি। তবে জয়কে ব্যক্তিগত ৩৫ রানেই থামিয়ে দেন রূপগঞ্জের স্পিনার সানজামুল। ৩৫ বল মোকাবেলা করে ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন জয়।

দলীয় ১৫৮ রানে জয়ের বিদায়ের পর দ্রুত আরও দুই উইকেট হারায় ওল্ড ডিওএইচএস। মিডল-অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান অধিনায়ক মোহিমেনুল খান ১২ ও মোহাম্মদ রাকিব ২ রান করে আউট হন। তাই ৩৭তম ওভারের পর চাপে পড়েছিলো ওল্ড ডিওএইচএস। সেই চাপ দূর করার চেষ্টা করেছিলেন উইকেটরক্ষক প্রিতম কুমার।

তবে অপরপ্রান্ত দিয়ে সতীর্থদের সহায়তা না পাওয়ায় ৪৯ ওভারেই ২৩০ রানে অলআউট হয় ওল্ড ডিওএইচএস। ৩৬ বলে ২টি চারে ৩৩ রান করেন প্রিতম। রূপগঞ্জের গাজী ৩টি, শহীদ-আল আমিন ২টি করে উইকেট নেন।

২৩১ রানের লক্ষ্যটা সহজই ছিল রূপগঞ্জের। কারণ, ব্যাটিং লাইন-আপে পিনাক ঘোষ, মারুফ-সাব্বির-নাইমের মত ব্যাটসম্যানরা ছিলেন। দেখেশুনেই শুরু করেছিলেন দলের দুই ওপেনার পিনাক ও মারুফ। ৭ দশমিক ২ ওভারে ২৪ রান যোগ করেন তারা। ১০ রান করা মারুফের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় রূপগঞ্জ।

তিন নম্বরে নামা সাব্বিরকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ করেন মারুফ। কিন্তু বড় জুটিতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। দ্বিতীয় উইকেটে ৩২ রানের জুটি গড়েন সাব্বির ও মারুফ। ধীরলয়ে শুরু করে ১৮ রানে থামেন সাব্বির। ৩১ বল খেলে ২টি চার মারেন দেশের হয়ে ১২১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা সাব্বির।

সাব্বিরের মত ব্যর্থ হয়েছেন মিডল-অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান অধিনায়ক নাইম ও আল-আমিন। নাইম শূন্য ও আল-আমিন ৭ রান করে ফিরেন। ফলে ৭১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় রূপগঞ্জ। সতীর্থরা ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ওপেনার পিনাক।

ধীরলয়ে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদও নেন পিনাক। তবে হাফ-সেঞ্চুরির পর থামতে হয় তাকে। ৬টি চারে ৯৩ বলে ৫৩ রান করেন পিনাক।
দলীয় ১১০ রানে পিনাকের আউটের পর দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন উইকেটরক্ষক জাকের আলি। তার সাথে ছিলেন স্পিনার সানজামুল।

জাকের আলি ২৮ রানে থেমে যান। শহীদও ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। তাই ৪১ ওভারে ১৫৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ কঠিন করে ফেলে রূপগঞ্জ।

অষ্টম উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়েছিলেন সানজামুল ও গাজী। কিন্তু সেই জুটি কোন কাজে আসেনি। পুরো ৫০ ওভার খেলে ২০৫ রানেই অলআউট হয় রূপগঞ্জ। সানজামুল ৪৯ বলে ৪০ এবং গাজী ২৯ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩২ রান করেন।

ওল্ড ডিওএইচএসের আব্দুর রশিদ-অভিষেক দাস ৩টি করে, আল ইসলাম-রকিবুল ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ওল্ড ডিওএইচএসের অভিষেক।



শেয়ার করুন :


আরও পড়ুন

মুশফিকের সেঞ্চুরি, আবাহনীর শুভ সূচনা

মুশফিকের সেঞ্চুরি, আবাহনীর শুভ সূচনা

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ব্রাদার্সকে হারালো প্রাইম দোলেশ্বর

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ব্রাদার্সকে হারালো প্রাইম দোলেশ্বর

২৪ বলে প্রথম রান, নার্ভাস ছিলেন মুশফিক

২৪ বলে প্রথম রান, নার্ভাস ছিলেন মুশফিক

বঙ্গবন্ধু ডিপিএলে মুশফিকের সেঞ্চুরি

বঙ্গবন্ধু ডিপিএলে মুশফিকের সেঞ্চুরি