অধিনায়ক হিসেবে বিদায়ী ম্যাচে মাঠে নামছেন মাশরাফি

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৯:২২ এএম, ০৬ মার্চ ২০২০
অধিনায়ক হিসেবে বিদায়ী ম্যাচে মাঠে নামছেন মাশরাফি

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ফলে আজ শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির শেষ ম্যাচ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যে সিরিজ জয় করেছে বাংলাদেশ। এবার শেষ ম্যাচে জয়লাভ করতে পারলে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবে ৫০ ম্যাচে জয়ের রেকর্ড গড়বেন মাশরাফি। যেটি দেশের কোন অধিনায়কের পক্ষেই এখনো সম্ভব হয়নি।

এ তালিকায় মাশরাফির পরের অবস্থানে আছেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৬৮ ম্যাচে নেতৃত্বে দিয়ে তিনি ২৯টি ম্যাচে জয় পেয়েছেন।

মাশরাফির অধীনে আজ শুক্রবার ৮৭তম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যেটি টাইগার দলপতি হিসেবেও তার সর্বাধিক ম্যাচ। অবশ্য বিশ্ব ক্রিকেটে ৫০ ম্যাচে জয়লাভ করা নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে রিকি পন্টিং ১৬৫, মহন্দ্রে সিং ধোনি ১১০ ও অ্যালান বোর্ডার ১০৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে নিজ নিজ দলকে শতাধিক জয় এনে দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে এটি অবশ্যই বিশেষ কিছু।

অধিনায়ক হিসেবে ৫০ ম্যাচে জয় প্রাপ্তির কথা স্মরণ করে দেওয়া হলে সাংবাদিকদের মাশরাফি বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়রা মাইলফলকের কথা ভেবে খেলি না। শেষ ম্যাচেও আমাদের লক্ষ্য থাকবে আরেকটি জয়লাভ করার। এটিই হবে আমাদের আসল লক্ষ্য।’

মাশরাফি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। তবে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন তিনি। যে কারণে ছিটকে যান পুরো সিরিজ থেকে। ওই ম্যাচের পর মাশরাফি কখনো টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারেনি।

২০১০ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ওয়ানেড দলের নেতৃত্ব দেন মাশরাফি। তবে ইনজুরির কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যেই নেতৃত্ব থেকে সড়ে দাঁড়াতে হয় তাকে। ২০১৪ সালে তাকে ফের টাইগার দলের নেতৃত্বে ফিরিয়ে আনা হয়। এ সময় খুব খারাপ সময় পার করছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট।

দ্বিতীয় ধাপে নেতৃত্বে এসে বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিপ্লব ঘটান মাশরাফি। এ সময় দেশকে স্মরণীয় কিছু জয় উপহার দেন। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে প্রথম বাংলাদেশ দলকে জয় পাইয়ে দেন পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষে। মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে এবং ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ লাভ করে।

এছাড়া বাংলাদেশ পুরুষ দল প্রথম কোন ট্রফি জয় করেছে মাশরাফির নেতৃত্বে। আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন ট্রফিই দলটির সেরা অর্জন।

তবে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ আসরটি ছিল মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে খারাপ টুর্নামেন্ট। অষ্টম স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে টাইগারদের। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যেও এ সময় চরম ব্যর্থ ছিলেন মাশরাফি। আট ম্যাচে অংশ নিয়ে সংগ্রহ করেছিলেন একটি মাত্র উইকেট। মূলত এর পরেই মাশরাফির অবসরের বিষয়টি সামনে চলে আসে।



শেয়ার করুন :


আরও পড়ুন

অধিনায়কত্ব ছাড়লেন মাশরাফি

অধিনায়কত্ব ছাড়লেন মাশরাফি

অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর মাশরাফিকে নিয়ে যা বললেন সতীর্থরা

অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর মাশরাফিকে নিয়ে যা বললেন সতীর্থরা

মুশফিককে না খেলানো নিয়ে যা বললেন মাশরাফি

মুশফিককে না খেলানো নিয়ে যা বললেন মাশরাফি

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে নতুন মুখ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে নতুন মুখ