বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন ‘ক্যাপ্টেন’ মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রিয় নেতাকে অভিনন্দন জানানোদের তালিকার অগ্রভাগে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবালের মত সিনিয়র খেলোয়াড়রা। তারা সবাই বলেছেন অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশ দলের জন্য মাশরাফি যা করে গেছেন দ্বিতীয় কেউ তা করতে পারবে না।
ইনজুরির কারণে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম দুইবার স্বল্প সময়ের মধ্যেই সরে যেতে হয়েছিল মাশরাফিকে। এরপর ২০১৪ সালে দেশের ক্রিকেটের যখন ক্রান্তিকাল চলছে, তখন তৃতীয়বারের মত নেতৃত্ব আসেন তিনি।
এই পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে দলের চেহারাই পাল্টে দেন মাশরাফি। এ সময় বিশ্বের শক্তিধর কয়েকটি দলের বিপক্ষে বাংলাদেশকে স্মরণীয় কিছু জয় উপহার দেন তিনি। মাশরাফির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এশিয়া কাপ সহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টে দারুণ সফলতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
মুশফিকুর রহিম বলেন, ‘মাশরাফির কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশ কখনো তার মত অধিনায়ক পাবে না। তিনি এই পরিবারের একটি অংশ ছিলেন। আমরা তার নেতৃত্ব মিস করব। শুধু মাঠে নয় মাঠের বাইরেও। তার সঙ্গে খেলার অনুভূতি সব সময় আলাদা।’
তামিম ইকবাল মাশরাফিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য মাশরাফির অবদান আমরা কখনো ভুলতে পারব না। যেভাবে দেশের ক্রিকেটকে তিনি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তার কারণেই আমাদের ক্রিকেট আরেক উচ্চতায় পৌঁছেছে। ২০১৪ সালে ফের নেতৃত্বে আসার পর তিনি আমাদের ক্রিকেটের চেহারাই পাল্টে দিয়েছেন।’
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন,‘ অধিনায়ক হিসেবে তিনি অনেক কিছু দিয়েছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই যে সেরা ছিলেন সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। আমার মনে হয় তার মধ্যে এখনো ক্রিকেটকে দেয়ার মত অনেক কিছু রয়েছে। তিনি যদি খেলা চালিয়ে যান তাহলে ভাল করতে পারবেন। আমি তার সুখ ও সফলতা কামনা করছি। অধিনায়ক হিসেবে তিনি কতটা উপযুক্ত ছিলেন তার প্রমাণ তিনি দিয়েছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের চেহারা এবং কৌশল পাল্টে দিয়েছেন। তিনি আমাদের জন্য অনেক কিছু সহজ করে দিয়েছেন।’
মোহাম্মদ মিথুন বলেন,‘ সফলতার তালিকা দেখলেই বোঝা যায় দলনেতা হিসেবে তিনি কতটা সফল ছিলেন। তার জন্য শুভ কামনা রইল। আশা করি তিনি ভাল থাকবেন।’