ওপেনার লিটন দাসের সেঞ্চুরি, মোহাম্মদ মিঠুনের হাফ সেঞ্চুরি ও শেষ দিকে সাইফুদ্দিনের ঝড়ো ব্যাটিং নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩২১ রানের স্কোর গড়েছে বাংলাদেশ। যা দেশটির বিপক্ষে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর।
রোববার (১ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তামিম ইকবাল কিছুটা ধীরগতে হলেও ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রান তুলেন লিটন দাস।
দলীয় ৬০ রানে বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায়। ৪৩ বল মোকাবেলা করে ২৪ রান করে সাঝঘরে ফেরেন তামিম। তবে অপর ওপেনার লিটন দাসের ব্যাট চলেছে দুর্দান্ত। ৯৫ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তবে দুর্ভাগ্যভাবে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে।
আহত হয়ে মাঠের বাইরে যাওয়ার আগে ১০৫ বলে ১২৬ রান করেন লিটস দাস। তার এ ইনিংসে ১৩টি চারের মারের সঙ্গে ২টি ছক্কার মার রয়েছে।
লিটন দাস ছাড়া শেষ সময়ে ঝড়ো ব্যাটিং করেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। সাত নম্বরে নেমে ১৫ বরে ২৮ রান করেন তিনি। যেখানে শেষ ওভারে ৬টি ছক্কার মার মারেন তিনি। লিটন-সাইফুদ্দিন ছাড়াও ব্যাট হাতে হাফসেঞ্চুরি করেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৪১ বলে ৫০ রান করেন তিনি।
এছাড়া নাজমুল হাসান শান্ত ২৯, মুশফিক ১৯, মাহমুদউল্লাহ ৩২, মেহেদী হাসান মিরাজ ৭ রান এবং কোন বল না খেলে শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
ওয়ানডে ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ দলীয় রান ছিল ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩২০ রান। ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ করা ম্যাচটি ৪৮ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
ওই ম্যাচে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে ১০৪ রান ও বল হাতে ২ উইকেট শিকার করেছিলেন।
এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রান ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৩৩ রান। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নটিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ রান করেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম ওই ম্যাচে অপরাজিত ১০২ রান করেছিলেন।