২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা নাকচ না করে নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান রস টেইলর বলেছেন, ফর্ম ফিটনেস এবং আগামী বছরের শেষে খেলার প্রতি অনুপ্রেরণার স্তর বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন যে, তিনি দলে জায়গা পাবেন কি না।
সফরকারী ভারতীয় দলের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজে ২১ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বেসিন রিভার্সে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামলেই বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফর্মেটেই একশ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়বেন ৩৫ বছর বয়সী টেইলর।
টেইলরের বরাত দিয়ে স্টাফ ডট কো ডট এনজেডকে পরিবেশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘২০২৩ বিশ্বকাপ খেলা আমি নাকচ করছি না। তবে আমি মনে করছি এখনো অনেক দূর যেতে হবে। সবার আগে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- আমি আগামী এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে চাই, এরপর নিজ মাঠের গ্রীষ্ম মৌসুম। এরপর বুঝতে পারব পরবর্তী গ্রীষ্মে আমি কোন অবস্থায় আছি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘সে সময় চিন্তা করব- আমি যথেষ্ঠ ভালো অবস্থায় আছি কি না, ফিট আছি কি না এবং দলে জায়গা পাওয়াটা আমার প্রাপ্য কি না। সব ঠিক থাকলে ২০২৩ বিশ্বকাপে অবশ্যই খেলব।’
বিগ হিটিং এ ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন খেলা অব্যাহত রাখার ইচ্ছে থাকলেও নিজের ওপর খুব বেশি চাপ নেবেন না। টেইলর বলেন, ‘আপনি সব সময় ভালো করতে চান এবং প্রথম ও সর্বাগ্রে খেলাটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একই সময় আপনি নিজের ওপর বাড়তি চাপও রাখতে পারেন। আপনাকে কেবলমাত্র মাঠে নামতে হবে এবং এটি উপভোগ করতে হবে, এটাকে অন্য একটি ম্যাচ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। আশা করছি যে কোনভাবে আমি অবদান রাখতে পারব।’
স্টিফেন ফ্লেমিং, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি এবং ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের হয়ে একশ টেস্ট খেলা ক্লাবের সদস্য হবেন টেইলর। এত দূর আসতে উদ্বুদ্ধ করতে নিজের মেন্টর প্রয়াত মার্টিন ক্রো কে কৃতিত্ব দেন তিনি।
বলেন, ‘ তিনি (ক্রো) আমার মধ্যে এমন কিছু দেখেছিলন যা আমি কখনো করিনি। আমি একটি টেস্ট খেতে পেরেই খুশি ছিলাম, একশ টেস্ট খেলা তো বিশেষ কিছু। এখনো এক টেস্ট খেলা বাকি আছে এবং অবদান রাখতে হবে। একই সময় আপনাকে অর্জনের স্বীকৃতি দিতে হবে এবং প্রকৃত সত্যি হচ্ছে পুরো ক্যারিয়ারে অনেক ব্যক্তি আপনাকে সাহায্য করেছে।’