সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের ১৩১ রান ম্লান করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতকে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ দিলেন ওপেনার রোহিত শর্মা। তিনি নিজেও ১১৯ রানের ইনিংস খেলেন। তারকা এ ব্যাটসম্যানের নৈপুন্যে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে রাখল স্বাগতিক ভারত।
গত বছর সিরিজ হারের প্রতিশোধও নিতে সক্ষম হলো বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত। গত মার্চে দেশের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। প্রতিশোধ নিতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত ভারতের অধিনায়ক কোহলি।
ব্যাঙ্গালুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। ৪৬ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ফিরে যান। এরপর ১২৭ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়েন স্মিথ ও মার্নাস লাবুশানে।
লাবুশেন ৫৪ রানে থামলেও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম ও ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন স্মিথ। এরপর অস্ট্রেলিয়ার রানের চাকাকে টেনে ধরেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সামি। তাই ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৬ রানের সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। ১৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৩২ বলে ১৩১ রান করেন স্মিথ। সামি ৬৩ রানে ৪ উইকেট নেন।
২৮৭ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো করেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। ফিল্ডিংয়ে কাঁধে ব্যাথা পাওয়ায় নিয়মিত ওপেনার শিখার ধাওয়ানের পরিবর্ত ইনিংস শুরু করতে রাহুলকে পাঠায় ভারত। ১৯ রানে আউট হন তিনি।
এরপর ১৩৭ রানের জুটি গড়ে ভারতের জয়ের পথ সহজ করেন রোহিত ও কোহলি। ২৯তম সেঞ্চুরি তুলে ১১৯ রানে আউট হন রোহিত। ৮টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন তিনি। ৮টি চারে ৮৯ রান করেন কোহলি। তাদের বিদায়ের পর শ্রেয়ার আইয়ারের অপরাজিত ৪৪ রান ভারতের জয় নিশ্চিত করে।
ম্যাচ সেরা হন রোহিত। সিরিজ সেরার পুরস্কার পাওয়া কোহলি বলেন, ‘আগের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও আমাদের হারতে হয়েছিল। এবার পিছিয়ে পড়েও সিরিজ জয় করলাম আমরা। দলগত পারফরমেন্সের ফল এটি। দলের সকলেই নিজেদের সেরা নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে।’
পক্ষান্তরে সিরিজ হেরে হতাশ অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ফিঞ্চ। বলেন, ‘দুর্দান্ত শুরুর পরও এভাবে সিরিজ হার হতাশার। তবে ছেলেরা ভালো করেছে। মিডল-অর্ডারে আরও কিছু রান হলে ম্যাচ জয় সম্ভব ছিল।’