ব্যাট হাতে তুখোড় ফর্মে রয়েছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ডান-হাতি ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতেও সেঞ্চুরি করলেন তিনি। আগের দু’ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন হৃদয়। ফলে সেঞ্চুরির হ্যাটট্টিক করে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন হৃদয়।
যুব ক্রিকেটের ইতিহাসে ওয়ানডেতে টানা দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির নজির রয়েছে ১১ জন ব্যাটসম্যানের। গত ওয়ানডেতে (চতুর্থ) সেই রেকর্ডে নিজের নাম তুলেছিলেন হৃদয়। আর মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সেঞ্চুরি করে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন হৃদয়।
হৃদয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়া ম্যাচে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫০ রনে হইরয়েছে। বৃষ্টির কারণে প্রথমটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-০ ব্যবধানে জিতলো বাংলাদেশের যুবারা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ৫৮ রানে ২ ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের সাথে ৬৯ রানের জুটি গড়েন হৃদয়। নাবিল ৬৫ রানে থামলে চতুর্থ উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমনের সাথে সেঞ্চুরির জুটি গড়েন হৃদয়।
এ জুটিতে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১০২ বলে ১১১ রান করেন হৃদয়। আগের তিন ম্যাচে তার ইনিংসগুলো ছিল যথাক্রমে অপরাজিত ৮২, অপরাজিত ১২৩ ও ১১৫ রানের।
পারভেজের ৩৮ রানের পর শেষদিকে ১২ বলে ২৪ রানে ঝড়ো ইনিংস খেলেন অভিষেক দাস। ফলে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার রোহান সঞ্জয়া ২টি উইকেট নেন।
শেষ ম্যাচে সান্তনার জয়ের জন্য ২৮৪ রানের টার্গেট পায় শ্রীলঙ্কা। তবে সফরারী দলটি ব্যাট হাতে নেমে ২৩৩ রানে অলআউট হলে ৫০ রানের জয় পায় বাংলাদেশের যুবারা। বাংলাদেশের বোলাররা ৬টি উইকেট নেন। বাকি চার ব্যাটসম্যান রান আউটের শিকার হন।
বাংলাদেশের শাহিন আলম-হাসান মুরাদ ২টি করে, অভিষেক দাস-শামিম হোসেন ১টি করে উইকেট নেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন রবীন্দু রাসানথা।
ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের হৃদয়। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ক্রিকেটে আজ পঞ্চম সেঞ্চুরি করেন হৃদয়। সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির ববেচনায় যৌথভাবে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন হৃদয়। তার সমান ৫টি সেঞ্চুরি রয়েছে ভারতীয় উন্মুখ চাঁদের। সবচেয়ে বেশি ৬টি সেঞ্চুরি করেছেন পাকিস্তানের সামি আসলাম।