এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে পরাজয়ের পর দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দল। ফাইনালে মানসিক চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয়ে ওই পরাজয়কে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে দলটি।
শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে শনিবার (১৪ সেপ্টম্বর) মাত্র ৩২.৪ ওভারে ভারতকে ১০৬ রানে অলআউট করে দেওয়ায় আশা করা হচ্ছিল আসরের নকআউট পর্বে ধারাবাহিক পরাজয়ের ধারা থেকে বেরিয়ে আসবে জুনিয়র টাইগাররা। কিন্তু ফাইনালে জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ব্যর্থতা নিয়েই দেশে ফিরেছে তারা।
বাঁ হাতি স্পিনার অথর্ব আনকোলেকারের স্পিন বিষে জর্জরিত হয়ে ৩৩ ওভারে ১০১ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। আনকোলেকার ২৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৫টি উইকেট। ফলে জয়ে দ্বারপ্রান্তে গিয়েও হেরে যায় বাংলাদেশের যুবারা।
দেশে ফিরে মিরপুরের বিসিবি একাডেমি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যান শামিম পাটওয়ারী বলেন, এ হারের বর্ণনা আমরা দিতে পারব না। ভারতের বিপক্ষে আমরা সব সময় জয়ের ম্যাচগুলোতেই হার মানছি। এটি একটি লজ্জার ব্যাপার। এটি হতে পারে মানসিক বাধা। আমরা যখন ফাইনালে খেলতে যাই তখন মনে হয় মস্তিষ্কে সেটি কাজ করে।
এ স্বল্প ব্যবধানের জয় ভারতকে পৌঁছে দিয়েছে নতুন রেকর্ডে। এ নিয়ে অনুর্ধ -১৯ এশিয়া কাপে রেকর্ড সপ্তম শিরোপা জয় করেছে ভারত।
পাটওয়ারী বলেন, বোলারদের অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শনের পরও ফাইনালে জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করাটা সত্যিই হতাশার ব্যাপার। আমরা মনে করেছিলাম ভালো কিছু একটা করতে পারব। ম্যাচটি ভালোভাবে শেষ করতে পারব। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমরা গেম পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমি চেষ্টা করেছি। কিন্তু সম্ভব হয়নি। দুর্ভাগ্য বশত ব্যাট হাতে আমি দলকে কিছুই দিতে পারিনি। আমাদের বোলাররা সত্যি ভালো বল করেছে। সব বিভাগেই আমরা ভালো অবস্থায় ছিলাম। সব কিছুই ঠিক ছিল।
পাটওয়ারী দু’টি এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্তের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তগুলোও দলের বিপক্ষে গিয়েছে। যা তাদের সুযোগ আরও বেশি নষ্ট করে দিয়েছে। আপনারা সবই দেখেছেন। আমার মনে হয় এ বিষয়ে আমাদের চেয়েও বেশি জানেন। আমাদের বিপক্ষেই কেন ভুল সিদ্ধান্ত হলো। ভারতের বিপক্ষে আমরা যখনই খেলতে যাই তখনই একটি বা দু’টি ভুল সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে দেওয়া হয়। যা আমাদের খেলাকেই নষ্ট করে দেয়।