বোলারদের বিধ্বংসী বোলিং নৈপুণ্যে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনাল জয়ের মঞ্চ পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় শিরোপা স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের যুবাদের।
ভারতের বোলারদের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ১০১ রানে গুটিয়ে শিরোপা বিসর্জন দিয়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ৫ রানে ম্যাচ জিতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে ভারত। এ নিয়ে সপ্তমবার শিরোপা জয় করলো ভারত।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। ৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় তারা। পরবর্তীতে আর ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি ভারত। বাঁ-হাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও ডান-হাতি অফ-স্পিনার শামীম হোসেন বড় সর্বনাশ করেন ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপের। তাদের সাথে তাল মিলিয়েছেন দুই ডান-হাতি পেসার তানজীম হাসান সাকিব ও শাহিন আলম। দু’জনই ১টি করে উইকেট নেন।
মৃত্যুঞ্জয় ও শামীম ৩টি করে শিকার ঝুলিতে ভড়েন। ফলে ৩২ দশমিক ৪ ওভারে ১০৬ রানে অলআউট হয় ভারত। দলের পক্ষে ৮ নম্বরে নেমে করণ লাল ৩৭ ও ধ্রুব জুরেল ৩৩ রান করেন।
১০৭ রানের সহজ টার্গেটে খেলতে নেমে ১৬ রানে বাংলাদেশের ওপরের সারির চার ব্যাটসম্যান ফিরে যায়। কেউই দু’অংকের কোটা পেরোতে পারেননি। এরপর আরও দু’ব্যাটসম্যান ডাবল ডিজিটে পৌঁছানোর আগে ফিরলে ম্যাচ হারের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। তবে অধিনায়ক আকবর আলি ও মৃত্যুঞ্জয় জুটি বেধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করেন।
দু’জনই দু’অংকের কোটা স্পর্শ করেন । ফলে বাংলাদেশের আশা জেগে ওঠে। কিন্তু দলীয় ৭৮ রানেই আকবর ও মৃত্যুঞ্জয় ফিরে গেলে বাংলাদেশের আশা শেষ হয়ে যায়। আকবর ২৩ ও মৃত্যুঞ্জয় ২১ রান করেন।
শেষদিকে বাংলাদেশের আশা ধরে রেখেছিলেন দুই বোলার সাকিব ও রাকিবুল হাসান। দলীয় ৭৮ রান থেকে জুটি বেঁধে দলের স্কোর শতরানে নিয়ে যান তারা। এ জুটির কল্যাণে জয় থেকে ৬ রান দূরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।
৩৩তম ওভারের তৃতীয় বলে সাকিব ও শেষ বলে ১১তম ব্যাটসম্যান শাহিন আলম আউট হলে ১০১ রানেই ইতি ঘটে বাংলাদেশের ইনিংসের। আর সেখানেই রচিত হয় এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ।
সাকিব ১২ রানে আউট হলেও রাকিবুল ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। যা কোন কাজে আসেনি বাংলাদেশের। ভারতের অথর্ব আনকোলেকার ২৮ রানে ৫টি উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ে প্রধান ভূমিকা রাখেন। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।