প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় তিন ম্যাচের সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেই ভারতের আর সিরিজ হারের ভয় ছিল না। সেই কাজটাই সেরে রাখল ভারত।
প্রথমে ব্যাট করতে নামা ভারতের ওপেনাররা ব্যর্থ হলেও শক্ত হয়ে দাঁড়ান অধিনায়ক কোহলি। ঝকঝকে ১২০ রানের ইনিংস খেলে তিনি প্রমাণ করেন যে ‘ফর্ম ইজ টেম্পররি বাট ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাই বিরাটকে অন্যদের থেকে আলাদা করে দেয়।
ব্যাটিংয়ে প্রথম ওভারেই গব্বরের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ভারত। সেখান থেকে দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে ইনিংস গড়ার কাজ শুরু করেন কোহলি। এদিন তিনি যে শুধু সৌরভ, মিয়াঁদাদের রেকর্ড ভাঙেন তাই নয়, সেঞ্চুরি করে হয়ে যান এই দুই দেশের মধ্যে হওয়া সিরিজে সর্বাধিক সেঞ্চুরির মালিক।
এদিন বিরাটের সঙ্গে ভালো পার্টনারশিপ গড়েন শ্রেয়াস আইয়ার। প্রায় এক বছর পর দলে সুযোগ পেয়ে শ্রেয়াস একটুও দেরি করেননি সুযোগের সদ্বব্যবহার করতে। ৬৮ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলে তিনি ভারতের রান ২৫০ পেরোতে সাহায্য করেন।
তবে এ ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন কেদার যাদব। বিশ্বকাপের আগে হারানো ফর্ম খুঁজে পাননি তিনি। তবে রান আউট সব সময়েই দুর্ভাগ্যের। জাদেজাও মাত্র ১৬ রান করেই ফিরে যান। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা শ্রেয়াস এসে ঢেকে দিলেও লোয়ার মিডল অর্ডারে ধস নামে।
কিন্তু সেই ব্যর্থতা পোর্ট অব স্পেনে বড় হয়ে দেখা দেয়নি বোলারদের কৃতিত্বে। ভুবি-শামিদের দাপটে কখনওই স্বস্তিতে ছিল না ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং।
শুরুতে ভুবি-খলিল ও শেষে শামির আক্রমণে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবিয়ানরা। মাঝে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন কুলদীপ ও জাদেজা। এভিন লিউয়িস ছাড়া কেউই আশা জাগাতে পারেনি।
ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং-এর মুখ হয়ে ওঠেন লিউয়িস ও পুরান। তাঁদের ব্যাটে ভর করেই দুশো পেরোয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ভুবনেশ্বর কুমারের নেওয়া চার উইকেটে ভারত জয় নিশ্চিত করে। আট ওভারে মাত্র ৩১ রান দিয়েছেন তিনি। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানরা বরাবরই ভুবির প্রিয় শিকার। এ ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
ভাল বল করেন কুলদিপ ও খলিল আহমেদও। ভারতের এই জয় অবদান রয়েছে তাঁদেরও। পুরো বোলিং বিভাগই দারুণভাবে ভারতকে জয় এনে দিয়েছে।