ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করলো শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া লজ্জাকর ৮৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে কোন উইকেট না হারিয়েই ১১ ওভার ৪ বলেই জয় তলে নেয় হাথুরু বাহিনী।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং ধসে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ২৪ ওভার ব্যাট করে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ৮২ তুলতে পারে বাংলাদেশ। স্মরণকালের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে আজকের ম্যাচে পরাজয় নিশ্চিতই ছিল।
মিরপুরের শেরে বাংলায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন বিজয়। ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে আবার জাতীয় দলে ফেরা বিজয় টানা চতুর্থ ম্যাচেও ব্যর্থতার বৃত্তেই বন্দি হন। সাজঘরে ফিরে গেছেন কোন রান না করেই।
দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে এসে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে সাকিব। তবে খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি। সুরঙ্গা লাকমলের বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে রান নিতে ছুটেন তামিম ইকবাল। একটু দেরিতে সাড়া দিয়ে ছুটেন সাকিব। গুনাথিলাকার থ্রু সরাসরি স্ট্যাম্পে লাগলে দুই চারে ৮ রানেই থামে সাকিবের ইনিংস।
সাকিবের পর দ্রুত বিদায় নেন তামিমও। সুরঙ্গা লাকমলের অফ স্টাম্পের বাইরের একটু লাফিয়ে উঠা বল তামিম ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে খানিকটা দৌড়ে ঝাঁপিয়ে দুই হাতে ক্যাচ মুঠোয় নেন গুনাথিলাকা।
তামিমের বিদায়ের পর দলের বিপদে হাল ধরতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ। ব্যক্তিগত ৭ রানে লাকমলের শর্ট বলে ক্যাচ দিলেন ফাইন লেগে। সহজেই তা তালুবন্দি করেন সীমানায় থাকা একমাত্র ফিল্ডার চামিরাকে।
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর উইকেটে আসেন সাব্বির। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ সাব্বিরের সামনে আজ সুযোগ ছিল দলের হাল ধরার। তবে আজও ব্যর্থ হন এই তারকা। থিসারা পেরেরার ফুলার ডেলিভারি মিড অনের ওপর দিয়ে ওড়াতে গিয়ে মাদুশানাকাকে ক্যাচ দেন সাব্বির। তিন বছর পর জাতীয় দলে ফেরাটা রাঙাতে পারেননি আবুল হাসান রাজুও। পেরেরার বলে সাজঘরে ফেরার আগে করেন মাত্র ৭ রান।
জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি মুশফিকুর রহীম। ঈদলের বিপদের সময়ে বাজে শটে দুশমন্থ চামিরার বলে মেন্ডিসকে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষ দিকে নাসির (৩), মাশরাফি (১) ও রুবেল (০) কেউ দাঁড়াতে না পারলে মাত্র ৮২ রানেই থামে টাইগারদের ইনিংস।
এদিকে, শ্রীলঙ্কার ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় সিরিজ থেকে বিদায় নিলো জিম্বাবুয়ে।