ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। লিগে ফিরতি পর্বে মঙ্গলবার আবারও প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের মুখোমুখী হচ্ছে মাশরাফি বাহিনী।
প্রথম দু’ম্যচের মত জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখাই লক্ষ্য বাংলাদেশের। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবার দৌড়ে টুর্নামেন্টের অন্য দু’টি দল, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা। দু’দলেরই একটি করে ম্যাচ রয়েছে। এর মধ্যে আগামীকাল (মঙ্গলবার) লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে মরিয়া জিম্বাবুয়ের।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। এরপর টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৬৩ রানের রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়ে আগেভাগেই ফাইনাল নিশ্চিত করে টাইগাররা। দু’ম্যাচে ৪ করে পয়েন্ট অর্জনের সাথে সাথে বড় ব্যবধানে জয়ের জন্য ২টি বোনাস পয়েন্টও পায় মাশরাফির দল। তাই ১০ পয়েন্ট নিয়ে দু’ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
টুর্নামেন্টের অন্য দু’দল, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট এখন সমান ৪ করে। তবে রান রেটে এগিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে জিম্বাবুয়ে। আর তৃতীয়স্থানে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের কাছে একবার করে হারের স্বাদ নেয় এ দু’দলই। লিগের প্রথম পর্বে শ্রীলঙ্কাকে ১২ রানে হারিয়ে ৪ পয়েন্ট অর্জন করে জিম্বাবুয়ে। আর ফিরতি লিগে গতকাল জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ৪ পয়েন্ট আদায় করে টুর্নামেন্টে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে শ্রীলঙ্কা।
লিগ পর্বে নিজেদের শেষ দু’ম্যাচের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের ভাগ্য। তবে আগামীকাল বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালের পথটা মসৃন করতে মরিয়া জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার।
তিনি বলেনস, ‘পয়েন্ট টেবিলের অবস্থা খুবই মজার ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। শ্রীলঙ্কা ও আমাদের ফাইনালের যেতে হলে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততেই হবে। আমি আশা করছি, আগামীকাল (মঙ্গলবার) বাংলাদেশকে হারিয়ে আমরা ফাইনালের পথে অনেকখানি এগিয়ে থাকতে চাই।’
এদিকে, গত দুই ম্যাচের মতো টুর্নামেন্টের বাকী দু’ম্যাচেও আক্রমণাত্মক মেজাজ ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর বাংলাদেশ। টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব সব ম্যাচই ভালো খেলার। কখনো সেটা সম্ভব হয়, কখনো হয় না। তবে পরের দু’ম্যাচে ভালো পারফরমেন্স করতে চাই।’
বাংলাদেশ দল
মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ মিথুন, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, আবুল হাসান রাজু, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও সানজামুল ইসলাম।
জিম্বাবুয়ে দল
গ্রায়েম ক্রেমার (অধিনায়ক), হ্যামিলটন মাসাকাদজা, সলোমন মির, ক্রেইগ আরভিন, ব্রেন্ডন টেইলর, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর, ম্যালকম ওয়ালার, রায়ান মারে, টেন্ডাই চিসোরো, ব্রেন্ডন মাভুতা, ব্লেসিং মুজারাবানি, ক্রিস্টোফার মোফু, টেন্ডাই চাতারা ও কাইল জার্ভিস।