বাঙালিদের এমনিতেই আবেগ প্রবল জাতি বলা হয়। এর মধ্যে ক্রিকেটের প্রতি অন্যরকম একটা ভালো তো আছেই। সেটা বাংলাদেশের খেলার সময় আরও বেশি উপলব্ধি করা যায়। তবে ঢাকায় চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে মিরপুর ক্রিকেট স্টেঢিয়ামে দেখা মিললো অচেনা বাংলাদেশকে! বাংলাদেশের খেলার দিন স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ থাকলেও সিরিজের বাকি দুই দলের খেলার সময় পুরো ফাঁকা ছিল দর্শক গ্যালারি।
ঘরের মাঠে এ ত্রিদেশীয় সিরিজে ইতোমধ্যে প্রথম দুই ম্যাচে বড় জয় দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আগামীকাল (মঙ্গলবার) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ফলে জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে দর্শক খড়া থাকলেও কাল মাঠে দর্শক আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেছে টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল।
মিরপুরে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে দর্শকদের নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তামিম বলেন, আমার কাছে মনে হয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দর্শক কিছুটা কম ছিল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) বেশ ভালোই দর্শক ছিল। আমার কাছে মনে হয় দেশের সবাই ক্রিকেট ভালোবাসে। তারাও মাঠে বসে খেলা দেখতে পছন্দ করে।
তামিম আরও বলেন, ঘরের মাঠে আমাদের শেষ কয়েক বছরের পারফরমেন্স ছিল নজরকারা। আর এতেই আমাদের সাধারণ দর্শকদের প্রত্যাশাও বেড়ে গেছে। তারা মনে করেন জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার মত দলের বিপক্ষে আমরা সহজেই জয় পাব। এরূপ চিন্তা-ভাবনা থেকেও মাঠে দর্শক কিছুটা কম আসছে।
সাধারণত মাঠ ভর্তি দর্শকের সামনে খেলোয়াড়দের খেলার অভিজ্ঞতাই অন্যরকম। তামিম-সাকিবসহ বেশ কিছু টাইগার ক্রিকেটার প্রায় দশ বছর ধরে বাংলাদেশ দলে নিয়মিত খেলছেন। অনেক দর্শকদের মাঝে তাদের খেলার অভিজ্ঞতাও আছে। তবে নতুন যারা দলে আসছে তারা তুলনামূলক কম দর্শকের মাঝে খেলছেন। ফলে মাঠে বেশি দর্শকের চার তারা পরবর্তীতে নিতে পারবেন কি না, এ নিয়ে সংশয়েও রয়েছে তামিম।
তামিম বলেন, আমরা যখন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অনেক দর্শকের মাঝে খেলেছি, ভালো খেলেছি। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের কাছেও এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো বা আমি দশ বছর খেলছি, সাকিব খেলছে, এরকম তিন-চারজন আছে। কিন্তু এরকম অনেক ছেলেরা খেলছে যাদের এই অভিজ্ঞতা নেই। তাই তাদের জন্য এটা একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় যখন মাঠে অনেক দর্শক থাকে ভালো কিভাবে খেলা যায়।
একই সঙ্গে ক্রিকেট প্রেমিক দর্শকদের মাঠে গিয়ে খেলা উপভোগ করার আহ্বানও জানান তামিম ইকবাল।