কলোম্বোতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অংশ নেবে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা এ সফরে বাংলাদেশের ঘোষিত ১৪ সদস্যের দলে বাড়তি বোলার হিসেবে টাইগার পেসার শফিউল ইসলামকে যুক্ত করা হয়েছে। মূলত পেস আক্রমণকে শক্তিশালী করতেই আকস্মিকভাবে শফিউলকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন অবশ্য বলছেন, শফিউলের অন্তর্ভুক্তিতে বিস্মিত হওয়ার কোন কারণ নেই। তীব্র তাপমাত্রা ও ইনজুরিসহ বিভিন্ন কারণে তাকে বাড়তি পেসার হিসেবে দলভুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার কলম্বোতে টাইগার দলের কোচ বলেন, ‘বিষয়টি এমন নয় যে আমাদের বোলিং বিভাগ নিয়ে শঙ্কিত, যে কারণে শফিউলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
বিষয়টি ব্যাখা করে সুজন বলেন, তিন ম্যাচের মাঝখানে কিছুটা বিশ্রামের সুযোগও রয়েছে। বর্তমান দলের সদস্য সংখ্যা ১৪ জন। যে কারণে স্কোয়াডটিকে ১৫ জনে উন্নীত করার জন্য আরেকজন খেলোয়াড়ের জায়গা ছিল। এ কারণেই আমরা একজন পেস বোলারকেই ওই জায়াগার জন্য উপযুক্ত মনে করেছি।
তিনি আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হিসেবে শফিউলকেই বিবেচনায় আনা হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে ডেথ বোলিং নিয়ে আমরা কিছুটা শঙ্কায় রয়েছি। বিপিএলে শফিউল ডেথ বোলিংয়ে ভালো করেছে। সে নিজেও সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং আমাদেরও একটি সুযোগের প্রয়োজন ছিল।
ইনজুরির কারণে শেষ মুহূর্তে দলের বাইরে চলে গেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। শফিউলকে দলের ডাকার ক্ষেত্রেও এ বিষয়টি ইনজুরিই কাজ করেছে।
বাংলাদেশ কোচ বলেন, আমাদের ব্যাটিং নিয়ে কোন ভয় নেই। তবে সত্যিকার অর্থে বোলিং নিয়ে কিছুটা ভয় কাজ করছে, কারণ দলে নেই অভিজ্ঞ মাশরাফি। বর্তমান দলে যে সব পেসার রয়েছে তারা সবাই যোগ্য। তারপরও আমরা একজন পেসারের প্রয়োজন অনুভব করেছি।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখানকার রৌদ্রোজ্জ্বল কন্ডিশনে বোলাররা পানিশূণ্যতা সমস্যায় পড়তে পারে। কেউ কেউ আবার ইনজুরিতেও পড়তে পারে। এ কারণেই তাকে (শফিউল) দলে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এর ফলে সে দলের সঙ্গে থেকে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে এবং দলের প্রয়োজনে সে সেবা দিতে পারবে। আমরা তাকে সে ভাবেই প্রস্তুত করে নেব।